‘অক্সিজেন দিয়ে ভারতকে সাহায্য করুন’, ইমরান খানকে পাকিস্তানের জনগণের অনুরোধ

করোনা পরিস্থিতি ভারতে বেশ ভয়াবহ। দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি। অক্সিজেন না পেয়ে অনেকে ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। অক্সিজেনের সংকট শুরু হয়েছে ভারতের বহু হাসপাতালে। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেশটির হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গেছে হ্যাশট্যাগ ‘IndiaNeedsOxygen’। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জনগণ দাঁড়াতে চায় ভারতের পাশে।

তারা ভারতকে অক্সিজেনের জোগান দিতে ইচ্ছুক। পাকিস্তানে রীতিমতো ট্রেন্ডিং ‘IndiaNeedsOxygen’ হ্যাশট্যাগ। অনেক পাকিস্তানি নাগরিক ভারতকে অক্সিজেন পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন পাকিস্তানের সরকারকে উদ্দেশ্য করে। এর পাশাপাশি অন্যান্য জরুরি সরঞ্জাম পাঠানোর অনুরোধও করা হয়েছে। অনেকেই টুইটারে সরাসরি লিখেছেন, এই সময় রাজনৈতিক বিরোধ সরিয়ে রেখে ভারতকে সাহায্য করা উচিত পাকিস্তানের। অনেকে আবার লিখেছেন, “ভারত তুমি সেরে ওঠো। পাকিস্তান তোমার সঙ্গে আছে। একসঙ্গে আমরা করোনার মোকাবিলা করব।”

অক্সিডেনের সংকট এই মুহূর্তে ভারতে প্রথম এবং প্রধান সমস্যা। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির একটি হাসপাতালে ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আরও অক্সিজেন মজুত করা না গেলে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা।
ভারতের দিল্লিতে করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ। দিল্লির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা তলানিতে। বহু হাসপাতালে বেড না পেয়ে নাজেহাল রোগী ও তাদের পরিবার। হাসপাতালের বাইরে শুয়েই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন বহু সংকটনজনক রোগী।

ভারতের পাঞ্জাবের একটি হাসপাতালেও ৬ জন রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে। দেশটির রাজ্য সরকারগুলিকে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। হাসপাতালগুলি তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেও অক্সিজেনের জোগান দিতে পারছে না। অক্সিজেনের জন্য সর্বত্র হাহাকার।

জানা গেছে, অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে মোবাইল অক্সিজেন প্লান্ট এয়ারলিফট করে তুলে আনছে ভারত। সূদূর জার্মানি থেকে ২৩টি মোবাইল অক্সিজেন প্লান্ট বিমানে করে বয়ে নিয়ে আসবেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলটরা। ওই প্রতিটি প্লান্টে প্রতি মিনিটে ৪০ লিটার অক্সিজেন তৈরি হবে। প্রতি ঘণ্টায় প্রতি প্লান্টে ২ হাজার ৪০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।