লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণের চেইনের জন্য গৃহবধূর শরীরে আগুন!

লক্ষ্মীপুরে রাশেদা বেগম নামে এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে রাশেদার শরীরের ৫০ ভাগ ঝলসে গেছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। গত মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় রাশেদার স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন।

রাশেদা বেগম চরউভূতি গ্রামের জাহের হোসেনের স্ত্রী। রাশেদার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়েছেন। বর্তমানে তাকে সেখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা যায়, একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেবরের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে রাশেদার শ্বশুরবাড়ির বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকেলে দেবরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাশেদার শরীরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় দ্রুত অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আগুনে শরীর ঝলসে যাওয়ায় রাশেদার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। রাশেদা তখন অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় বলে। অভিযুক্তরা হলেন- মাইন উদ্দিন, শাহজাহান, লিটন ও আশরাফ। সবাই রাশেদার দেবরের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়। কিন্তু তার দেবরের নাম জানা যায়নি।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) বলেন, ঝলসানো অবস্থায় এক নারীকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার শরীরের ৫০ ভাগই পুড়ে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে অগ্নিদগ্ধের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।