কাদের মির্জার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দু্’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, এডিশন্যাল এসপি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান ও তার অনুসারীদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি ২৪ ঘন্টার ভেতর না মানলে জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামার হুঙ্কার দেন কাদের মির্জা। এ সময় আটক তার অনুসারী সাবেক কাউন্সিলর শিমুলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান কাদের মির্জা।

তার ছেলে তাশিক মির্জা কাদেরের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

কাদের মির্জা বলেন, “আজকে তারা আমার পরিবারকে ধ্বংস করতে চায়।” তিনি থানার ওসিকে লক্ষ্য করে বলেন, “ওসি তুমি মিথ্যা কথা বল। মুনাফিক, দশ লক্ষ টাকা খেয়ে আজকে প্রতারণা করছো। তুমি আমার ছেলেদেরকে জেলে দেওয়ার ভয় দেখাও। তোমাকে এ সাহস কে দিয়েছে। বাজে লোক। সাবধান, সাবধান করে দিচ্ছি তোমাদেরকে। আমি কারো তোয়াক্কা করি না। আল্লাহ ছাড়া, জনগণ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। আমার পরিবার প্রয়োজনে এই পথে নিজেদেরকে বিসর্জন দিব। তার পরে কোনো অপরাধী, অপরাজনীতি, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তার সাথে কোনো আপোস করব না।”

তিনি বলেন, “পুলিশের সামনে পকেটে অস্ত্র নিয়ে মহড়া, এ কোন দেশ? এ দেশে কি আইনের শাসন নেই? ইউএনওর সামনে বসে পকেটে অস্ত্র, এ দেশে কি আইনের শাসন নেই? মানবাধিকার সংস্থা নেই? আজকে আমাকে ফেসবুকে কথা বলতে দেওয়া হয় না।”