রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন: অস্ট্রেলিয়া ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার সহায়তা দেবে

কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিনেটর মেরিস পেইন ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিনেটর মেরিস পেইন এক বার্তায় বলেন, “বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অন্য সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

মেরিস পেইন বার্তায় আরো বলেন, “আমি বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী যারা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, প্রাথমিক উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করেছেন এবং মানবিক সহায়তা দেওয়া সংস্থাগুলো যারা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য সহায়তা, জরুরি আশ্রয়, পানি ও স্যানিটেশন সেবা দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের প্রশংসা করি।”

মেরিস পেইন বার্তায় আরো বলেন, “কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিধ্বংসী ঘটনার আলোকে, আমি আজ আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের বিদ্যমান মানবিক সহায়তা থেকে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করছি। আমাদের অতিরিক্ত সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউ এফ পি) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।”

“এই অতিরিক্ত তহবিল ২৬০ মিলিয়নেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দ তহবিলের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে যা ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, গত সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশু সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়।