করোনা ভাইরাসের কারণে দেউলিয়া হতে পারে কয়েকটি ক্রিকেট বোর্ড

করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে সব খেলাই বন্ধ। সংক্রমণ রোধে ক্রিকেটও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি চলছে দুই মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেল। অন্য খেলার মতো এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্রিকেটও। মাঠে খেলা নেই। তাই বোর্ডগুলোর আয়ও নেই। এর পরিণাম হতে যাচ্ছে ভয়াবহ।

চলতি বছর খেলা আর মাঠে না গড়ালে চরম আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়বে ক্রিকেট বোর্ডগুলো। যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে এ বছর আর খেলা না গড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি। তেমন কিছু ঘটলে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বোর্ড দেউলিয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সম্প্রচারস্বত্ব ছিল টেন স্পোর্টসের। গত বছর টেন স্পোর্টসের সঙ্গে সম্প্রচার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের। জানুয়ারি থেকে তারা শেষ হওয়া চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি।

একই চিত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। ২০১৪ সালে ৬ বছর মেয়াদি সম্প্রচার চুক্তি করেছিল বিসিবি। ১৭০ কোটি টাকা মূল্যের সিএ চুক্তিটির মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসে সেই চুক্তি নবায়ন করার কথা থাকলেও করোনা বদলে দিয়েছে দৃশ্যপট। এখন পর্যন্ত নতুন চুক্তি সম্পাদন করতে পারেনি বিসিবি। সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। করোনার প্রভাবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) মাঝপথে থেমে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখ দেখছে পিসিবি।

তবে বিসিবি এখনও তুলমূলক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এখনও তেমন বড় ক্ষতির মুখে না পড়লেও এই এপ্রিলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন স্পন্সর ও সম্প্রচারক খুঁজে না পেলে তাদের অবস্থাও খারাপ হতে পারে।

বোর্ডগুলোর বড় আয় আসে আইসিসি’র টুর্নামেন্ট থেকেও। যেমন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল গড়ে প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে আইসিসি টুর্নামেন্ট থেকে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যদি বাতিল হয় তাহলে বড় ক্ষতি অপেক্ষা করছে বোর্ডগুলোর জন্য। বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা হলো আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়া। এই টুর্নামেন্ট মানেই ‘সোনার খনি’। বহু ক্রিকেটার স্বল্প সময়ে মোটা অংকের অর্থ আয়ের জন্য এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকে। শুধু খেলোয়াড় কেন, এবারের আসর বাতিল হলে খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই) বড় ধাক্কা খাবে।

আর্থিক ক্ষতি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাবে যখন দেখা যাবে যে এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সেই সময় খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা এবং আরও আনুষঙ্গিক খরচ বহন করা খুব কঠিন বিষয় হয়ে পড়বে বলে ধারণা।