করোনাঃ স্থগিত হতে পারে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ

করোনা যেন বদলে দিলো গোটা বিশ্বকে। আইসিসির সূচি অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হতে পারে আসরটি।

যদিও এ ব্যাপারে চলমান বছরের নভেম্বরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে কোভিড-১৯ এর কারণে অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ্বকাপ স্থগিত হয়। ২০২২ সালের আগে এই টুর্নামেন্টগুলো আর আলো দেখছে না।

যদিও অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের ব্যাপারে আইসিসি এখনও কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি দেয়নি। তবে উপমহাদেশসহ বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আসরটি সম্ভাব্য আগামী বছর হতে পারে। নভেম্বরে আইসিসির বোর্ড সভায় এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

এ ব্যাপারে ক্রিকইনফোকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসি বিসিবির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছে। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের ব্যাপারে গভর্নিবডি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ’

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি এক ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দেয় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে পরবর্তী আয়োজক বাংলাদেশ। এরই সূত্র ধরে বিসিবি কক্সবাজারে অনুশীলন ক্যাম্পও আয়োজন করে। যেখানে আঞ্চলিক টুর্নামেন্টে ভালো করা ২৫ তরুণী নারী ক্রিকেটারকে নির্বাচনও করা হয়।

করোনার কারণে অবশ্য ২০২০ সালে বড় অনেক টুর্নামেন্টই স্থগিত হয়। যেখানে প্রায় প্রতিটি আসরকেই ২০২২ সালে স্থান্তরিন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ক্যারিবিয়ানে পুরুষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি রয়েছে। এছাড়া বছরের শেষঅর্ধে অস্ট্রেলিয়া আয়োজন করতে পারে নারী অ্যাশেজ।

গত বছরের অক্টোবরে দুবাইতে আইসিসির সভায় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের ঘোষণা আসে। শশাঙ্ক মনোহরের নেতৃত্বে আইসিসি এই সিদ্ধান্ত নেয়। যেখানে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২১ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ব্যাপারে বোর্ড অনুমোদন দিল এবং প্রতি দুই বছর পরপর এটি অনুষ্ঠিত হবে।