কাইল মায়ার্সের ডাবল সেঞ্চুরিতে ক্যারিবীয়দের চট্টগ্রাম টেস্ট জয়

অভিষেকেই নিজের জাত চেনালেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স। পুরো টেস্টে একবারের জন্যেও বুঝতে দেননি এটিই তার প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশি বোলারদের চোখে চোখ রেখে বুক চিতিয়ে জয় তুলে নিলেন তিনি। খেললেন ৩১০ বলে ২১০ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। লিখলেন জয়ের গল্প। দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে তবেই ছাড়লেন মাঠ।

ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়া নিয়ে এখন নিশ্চয়ই আফসোস করছেন বাংলাদেশ মুমিনুল হক। মাঠের বাইরে বসে বসেই দলের হার দেখলেন চোটাক্রান্ত সাকিব আল হাসানও। প্রথম চারদিনই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখার পরেও শেষ একদিনের খেলায় হেরে গেল বাংলাদেশ। কাইল মেয়ার্সের দ্বিশতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে ৩ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়। পঞ্চম দিনের প্রথম দুই সেশনই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের দখলে নিয়েছিল। দুই শতাধিক রানের জুটি গড়েন এনক্রুমাহ বনার ও কাইল মেয়ার্স।

স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে ছয় মারার পরেই এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন বোনার। ফেরার আগে তিনি করেন ২৪৫ বলে ৮৬ রান। ভেঙে যায় ২১৬ রানের জুটি। বনার ফেরার পরে মাঠে নামেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তিনিও আক্রমণাত্মক খেলার প্রবণতা দেখান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে নাঈম হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ২৯২ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

কিন্তু মেয়ার্স ঠিকই এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন তিনি। অপরপ্রান্তে দলকে জয়ের বন্দরে রেখে আউট হন জসুয়া ডা সিলভা। তারপর ক্রিজে আসেন কেমার রোচ। দুই দলের স্কোর সমান করে মিরাজের শিকার হন তিনি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেয়ার্স।

২ ওভার ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪৩০ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছিল ২৫৯ রানে।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। দ্বিতীয় দিনের পরে সাকিব আল হাসান আর মাঠে নামতে পারেননি।