মোস্তাফিজের কাটারে কপাল পুড়ল হায়দরাবাদের

মোস্তাফিজুর রহমান এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসরের এখন পর্যন্ত সেরা পারফর্মটাই করে দেখিয়েছেন আজ। বলা যায়, সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বল হাতে নাকানিচুবানি খাইয়েছেন তিনি।

৪ ওভার বল করে ২০ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। চার ওভারে টাইগার কাটার মাস্টার ডট বলও করেছেন ১২টি। তার কাছে পরাস্থ হয়েছেন ওপেনার মানিষ পাণ্ডে, মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান।

সন্ধ্যায় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে সানরাইজার্সের নতুন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।

ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে গত ম্যাচে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেও মোস্তাফিজুর রহমানের উপর আস্থা রাখে তার দল রাজস্থান।

প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ২২০ রান। শুরুতে জস্বশ্বী জসওয়ালের ১২ রানে ফেরার পর সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে ১৫০ রানের জুটি গড়েন জস বাটলার। স্যামসন ৪৮ (৩৩) রান করে ফিরলেও বাটলার তুলে নেন শতক। বাটলার শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে খেলেন ১২৪ রানের ইনিংস। হায়দরাবাদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা, রশিদ খান ও বিজয় শঙ্কর।

রাজস্থানের দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে মাতেন। ৫৭ রানের ওপেনিংয়ে জুটি গড়া মানিষ পাণ্ডে আর জনি বেইরষ্ট্রোর জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। পাণ্ডেকে ফেরান ৩১ রানে।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটা। বেইরষ্ট্রো ফেরেন ৩০ রান করে।

দলের দায়িত্ব নেয়া উইলিয়ামস ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। টপ অর্ডারে তিন ব্যাটসম্যান কুড়ি আর ত্রিশের কোঠা ছুঁতে পারলেও বাকিরা ব্যর্থ হয়েছেন। এতে ৮ উইকেটে ১৬৫ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস।

৫৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজস্থান। ৩টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজ ও ক্রিস মরিস। ১টি করে উইকেট নেন কার্তিগ ত্যায়াগি ও রাহুল তেওয়াতিয়া। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জশ বাটলার।