রাজস্থানকে টিকিয়ে রেখেছে মুস্তাফিজরাই: কুমার সাঙ্গাকারা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবারের আসরের যাত্রাটা মুস্তাফিজুর রহমানদের রাজস্থান রয়্যালসের এখন পর্যন্ত সুখকর নয়। বোলাররা ভালো না করলে বহু আগেই তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেত বলে অভিমত দলটির শ্রীলঙ্কান পরিচালক কুমার সাঙ্গাকারার। আজ বৃহস্পতিবার ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে।

গতকাল বুধবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরুর পর শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৪৯ রানের অল্প সংগ্রহ দাঁড় করায় রাজস্থান। পরে মুস্তাফিজুর রহমানরা আটসাঁট বোলিং করলেও জয় পায়নি সাঞ্জু সামসন বাহিনী। অথচ প্রথম ১১ ওভারে উদ্বোধনী ১০০ রান তুলে দলটি। এমন একটি ম্যাচের পর মুস্তাফিজদের প্রশংসা করে ক্রিকবাজকে সাঙ্গাকারা বলেন, ‘মূলত বোলাররাই আমাদের এখনও টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে চাপের মধ্যে থেকে তারা যে দক্ষতা দেখিয়েছে তা দারুণ কিছু। আমাদের সমস্যা হলো ব্যাটিং। এখন ব্যাট হাতে কীভাবে ইনিংসের সুন্দর সমাপ্তি টানতে হয় তা শেখা উচিত।’

সাঙ্গাকারা বলেন, ‘আমরা আইপিএলের ভারত পর্বে পাওয়ারপ্লেতে ভুগছিলাম। আরব আমিরাতে সে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু শেষ দিকে এবং ডেথ ওভারে ব্যাট হাতে খেলোয়াড়রা ভালো করতে পারছে না। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম ১১ ওভারে আমাদের শত রান পূরণ হয়েছিল। আশা করেছিলাম ইনিংস শেষে সেটা ১৮০ কিংবা ১৮৫ হবে। কিন্তু তা হয়নি। শেষ দিকে বোলাররা ভালো বল করেও দলকে জেতাতে পারেনি।’

উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের ১৪৯ রানের জবাবে ১৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পায় বিরাট কোহলির দল। মুস্তাফিজ ২ উইকেট নিলেও ১৭ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বেঙ্গালুরুর জয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩০ বলে ৫০ রান, শ্রিকর ভারত ৪৪, বিরাট কোহলি ২৫ ও দেবদূত ২২ রান করেন। রাজস্থানের হয়ে ২০ রান খরচায় দুই উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের দুই ওপেনার যশ্বসী জাইসওয়াল ও এভিন লুইস উড়ন্ত সূচনা করেন। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৭৭ রান। জাইসওয়াল ৩১ রান করে ড্যান ক্রিস্টিয়ানের শিকার হলেও ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন লুইস। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা হয়নি ক্যারিবীয় হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানের। অভিষিক্ত জর্জ গারটনের বলে শ্রিকর ভারতকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। এরপর রাজস্থানের অধিনায়ক সাঞ্জু সামসন আউট হলে মুখ থুবরে পড়ে দলের ইনিংস। এভিন লুইস ৩৭ বলে করেন ৫৮ রান, সামসনের ব্যাট থেকে ১৫ বলে আসে ১৯ রান।

মহিপাল লমরোর, রাহুল তেওয়াটিয়ারা এসে ব্যাটই ধরতে পারেননি। লমরোর ৩ রানে চাহাল ও তেওয়াটিয়া ২ রানে শাহবাজ আহমেদের শিকার হন। লিয়াম লিভিংস্টোন আউট হন ৬ রান করে। শেষ দিকে ক্রিস মরিসের ১১ বলে ১৪ ও রায়ান পরাগের ৯ রানে ভর করে ১৪৯ রানে পৌঁছায় রাজস্থান। বেঙ্গালুরুর হয়ে হার্শাল প্যাটেল নেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট পান শাহবাজ ও চাহাল।