অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গ্রেফতার

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত আবুল হোসেন ভূঁইয়া (২৫) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে ঔষধ সেবন করে বাচ্চা নষ্ট করা হয় বলে জানান ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন ভূঁইয়া সদর উপজেলার কুন্দরিয়া গ্রামের আব্দুর জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, অভিযুক্ত আবুল হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গরীব বলে স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করান। এই কারণে ওই ছাত্রীকে পড়াশোনা খরচ বাবদ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা প্রতি মাসে দিয়ে আসতেন তিনি। তাদের মধ্যে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। পরে বিয়ের আশ্বাসে গত ১৪ মার্চ রাতে আবুল হোসেন ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর ওই ছাত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে ওষুধ সেবন করে বাচ্চা নষ্ট করে দেয় আবুল। পরে স্কুলছাত্রী তার বাবা-মার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানালে গতকাল বুধবার দুপুরে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলা নম্বর ২৪।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ’আমি ঢাকাতে জুতার কারখানায় কাজ করি। সেই সুবাদে আমি ঢাকা থাকি। আমরা গরিব মানুষ। আবুল আমার স্ত্রীকে রাতে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে, মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে খারাপ কাজ করেছে। আমি ওকে ছেলের মতো জানতাম। এমন করবে ভাবতে পারিনি। আমি আবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি তার বিচার চাই।’

শরীয়তপুর সদরের পালং থানার পুলিশ পরিদর্শন (অপারেশন) জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার রাতে আবুলক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।