স্বামী পরকিয়ায় আসক্ত, অভিমানে স্ত্রীর আত্মহত্যা

প্রতিবেশীরা দীর্ঘক্ষণ ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে দরজা ভেঙে সুস্মিতার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। মুন্সিগঞ্জ সদরে বসতবাড়ি থেকে সুস্মিতা বেগম (২৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মোল্লাচর এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুস্মিতা স্থানীয় সুমন শিকাদারের স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী। স্বামী সুমনের পরকিয়া আসক্তির জেরে অভিমানে সুস্মিতা আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজন ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশের মাধ্যমে জানা যায়, সুস্মিতার স্বামী সুমন বাড়ির পাশের অপর আরেক নারীর সাথে পরকিয়ায় জড়িত। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার সুমনকে ওই নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায়ও আটক করে এলাকাবাসী। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার শালিসও হয়। এরপরও সুস্মিতা সুমনের সাথে সংসার চালিযে যাচ্ছিল। তবে বারবার বোঝানোর পরও সুমন পরকিয়া সম্পর্ক থেকে বের হয়ে না আসায় শুক্রবার দাম্পত্য কলহ বাধে সুমন এ সুস্মিতার। এ নিয়ে সুস্মিতাকে মারধরও করে সুমন। এরপর বিকেলে ফাঁকা বাড়িতে বসতঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে সুস্মিতা।

পরে দীর্ঘক্ষণ ঘরের দরজা বন্ধ পেলে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে সুস্মিতার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এবিষয়ে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আদিবুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরকিয়ার জেরে ওই নারী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। তবে যে নারীর সাথে পরকিয়ার অভিযোগ উঠেছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত ও ঘটনার তদন্ত শেষেই বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।