ইফতার ও গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের দাম

ইফতার ও গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে ডাবের দাম। আকারভেদে প্রতি পিস ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও আরও চওড়া এর দাম। হাসপাতালগুলোর সামনে প্রতিটা ডাব ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডাব বিক্রেতারা বলছেন, গরমের ও রমজান মাসের কারণে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়া লকডাউনের কারণে নদীপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ থাকার ফলে ভোলা, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ডাবের সরবরাহ কমে গেছে। যার কারণে বাজারে চড়া ডাবের দাম।

আজ শনিবার (১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দুপুরে কাওরান বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বড় আকারের একটি ডাব ৯০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এই আকৃতির একটি ডাবে ২০০ থেকে ২৫০মিঃ লিঃ পানি হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে একই ধরনের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অপেক্ষাকৃত একটু ছোট ডাব। এখন বাজারে ৭০ টাকার নিচে কোনও ডাব নেই।

কাওরান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসের সামনে ডাব বিক্রি করছেন গিয়াস উদ্দিন মিয়া। দামের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলে উঠলেন, একদাম ১০০! তার ডাবে কতটুকু পানি হতে পারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঠিক নাই। এক গ্লাসও হতে পারে, দেড় ক্লাসও হতে পারে।

তার পাশে ডাব বিক্রি করছেন আরেক জন দোকানি। তিনি কিছুটা ঠাট্টা করে বলেন, এখনও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে না। আর দুই দিন গেলে ডাবও কেজি দরে বিক্রি হতে পারে। তরমুজ-আনারস যদি কেজি দরে বিক্রি হয় তাহলে ডাব কী দোষ করেছে?

ঢাকা মেডিক্যালের সামনে ডাব বিক্রি করছেন রাকিব উদ্দিন। তিনি অপেক্ষাকৃত বড় ডাব দেখিয়ে বলেন, একটি ১১০ টাকা। এতে আড়াই থেকে তিন গ্লাস পানি হবে। এর চেয়ে একটু ছোটগুলো দেখিয়ে বলেন, ১০০ টাকা। দাম একটু কম হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে এক কথায় বলে দেন, ‌একদাম!

ডাবের ডাম বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার ডাব অনেক বড়। বেশি দামে কিনে আনতে হয়। একটা ডাবে সর্বোচ্চ ১০-১৫ টাকা লাভ করছি। সে কারণে দাম একটু বেশি।

খিলগাঁও রেলগেটে এলাকার ডাব বিক্রেতা ইয়াকুব বলেন, গরমের কারণে বাজারে ডাবের চাহিদা অনেক বেশি। আর ইফতারিতে মানুষ ডাবের পানি খেতে চায়। কিন্তু আড়তে ডাবের সরবরাহ খুবই কম। এ কারণে ডাবের দাম বাড়তি।