বাজারে আদার কেজি ৪০০, লেবুর হালি ৬০

বরগুনার আমতলীতে বাজারে আদার কেজি ৪০০ টাকা ও লেবুর হালি ষাট টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে।

সরেজমিনে পৌরশহরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ও লকডাউন চলার কারণে সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চল থেকে আদাসহ মসল্লা জাতীয় দ্রব্যাদি আসা প্রায় বন্ধ রয়েছে বলে পাইকারী (মহাজনী) বিক্রেতারা জানান। এ জন্য বাজারে আদার সংকট দেখা দেওয়ায় হঠাৎ আদার দাম বেড়ে গেছে।

আবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আদা গুদামজাত করে বাজারে কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করারও অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে বাজারে আদার প্রচুর সংঙ্কট দেখা দেওয়ায় বাড়তে থাকে আদার দাম। সপ্তাহখানেক পূর্বেও বাজারে যে আদার কেজি ছিল ১৪০ টাকা সেই আদা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

অপরদিকে গত সপ্তাহে বাজারে যে লেবু ২০ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে সেই লেবুও এখন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। করোনা ও রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতারা তার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন।

শুক্রবার আমতলী উপজেলার পৌরশহরসহ তালুকদারবাজার, আমড়াগাছিয়া, কুকুয়াহাট, গুলিশাখালী, কলাগাছিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ সকল বাজারের অধিকাংশ দোকানে আদা নেই। দুই একটি দোকানে আদা থাকলেও তা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে এবং এক হালি লেবু বিক্রি করছে ৬০ টাকা দরে।

ক্রেতা গৃহীনি শাকিলা পারভীন বলেন, আজ এক হালি লেবু ক্রয় করেছি ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল মাত্র ২০ টাকা। রোজা উপলক্ষেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

শিক্ষক মাহবুবুল আলম বলেন, করোনার কারণে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বাজারে ৪০০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বাজারে আমাদের মত ছোট ছোট বিক্রেতারদের আসলে কিছুই করার থাকেনা। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বিভিন্ন পন্যের দাম বাড়িয়ে তা আমাদের কিনতে বাধ্য করে। এ কারণে বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, যারা সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বাজারে আদা ও লেবুর দাম বাড়িয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।