প্রেমিকের ছদ্মবেশে গভীর রাতে স্কুলছাত্রীকে ডেকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে লিচুবাগানে আটকে রেখে এক আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত রোববার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদেররা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলার বাউপুকুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া (২৮), একই গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও বাউপুকুর পৌর এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রি ওমর ফারুক (২১)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এক যুবকের সঙ্গে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের দুজনের মোবাইলে প্রায়ই কথা হতো, মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি লাবু মিয়া জেনে কৌশলে স্কুলছাত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে। পরে লাবু মিয়া মেয়েটির প্রেমিক পরিচয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে থাকে। ছদ্মবেশী লাবু মিয়া একপর্যায়ে গত শনিবার রাত ৩টার দিকে স্কুলছাত্রীর বাড়ির পাশে লিচুবাগানে দেখা করার অনুরোধ জানায়।

ছদ্মবেশী লাবুর কথামতো মেয়েটি সেখানে গেলে তার প্রেমিকের পরিবর্তে অন্যদের দেখে। তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী চিৎকার করে দৌড়ে বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করেন। এ সময় লাবু ও তার সহযোগীরা ওই স্কুলছাত্রীকে ধরে ফেলে এবং তার মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই সেখানে ওৎ পেতে ছিল ওমর ফারুক এবং আশরাফুল।

স্কুলছাত্রীর মা জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজা খোলা এবং ঘরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার মেয়েকে বাড়ির পাশে লিচুবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঘটনা শুনে থানায় মামলা দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর মা।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। পরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের গতকাল সোমবার সকালে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়। নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।