কথিত সেই দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় মামুনুলকে গ্রেফতার দেখানো হবে

গতকাল শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা মামলা করেছেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা মামলাটিতে মামুনুলকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার এ তথ্য জানান। সোনারগাঁ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার নম্বর ৩০।

মামলার এজাহারে মামুনুলের কথিত স্ত্রী ঝর্ণা বলেছেন, ‘বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।’

মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে ঝর্ণা বলেন, ‘২০০৫ সালে তার স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে–শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন।’

এদিকে ধর্ষণ মামলার পর তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ পাহারায় নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি। আগামী রোববার এ রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

এর আগে মামলা দায়েরের পর চলে যাওয়ার সময় থানা প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মামুনুল হকের কথিত এই দ্বিতীয় স্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আমি ভালো আছি। আমার সর্বশেষ কথা আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার সাথে অনেক বড় প্রতারণা করেছে (মামুনুল হক)। আমি এর বিচার চাই।’

গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন হেফাজতের নেতা মামুনুল হক। রিসোর্টে উপস্থিত লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক প্রথমে ওই নারীকে (জান্নাত আরা ঝর্ণা) দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন। তবে মামলার এজাহারে নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি জান্নাত আরা ঝর্ণা। গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় ২০২০ সালে দায়ের হওয়া মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।