দীপাবলি হল একটি পাঁচ দিন-ব্যাপী হিন্দু ধর্মীয় উৎসব। তবে জৈন-শিখ ধর্মালম্বীরাও এই সময়ে একই ধরনের উৎসব পালন করে থাকেন। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়। কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উৎসব শেষ হয়। নবরাত্রি উৎসব অথবা বাঙালিদের দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর দীপাবলি শুরু হয়।
ভারতে দীপাবলি মানেই রঙিন, প্রার্থনা, প্রদীপ আর আনন্দ। বেশির ভাগ তারকাই দীপাবলি উপলক্ষে মাস ধরে বানিয়েছেন বিশেষ পোশাক। সেজেছেন বিশেষ রূপে। সেই রং আর আনন্দ বলিউড তারকাদের ঘর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেখে নেওয়া যাক, তারকাদের দীপাবলির কিছু ছবি।
কঙ্গনা রানাওয়াত
হিমাচলে, বাড়িতে মা–বাবা–বোনের সঙ্গে দীপাবলি পালন করছেন কঙ্গনা। কঙ্গনা রানাওয়াত একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি নিজেকে বলিউড চলচ্চিত্রে অন্যতম একটি জায়গায় অধিষ্ঠিত করেছেন । তিনি মোট ৩ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে ২ বার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ও একবার সেরা সহ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান ।
এছাড়াও তিনি ৩টি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন। কঙ্গনা মিডিয়াতে তার সৎ মতামত প্রকাশের জন্য জনসাধারণের কাছে বিশেষভাবে সুপরিচিত এবং নিজেকে অন্যতম একজন ভারতীয় সেলিব্রেটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আলিয়া ভাট
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট ঠিক করেছিলেন এই দীপাবলিতে ভিন্ন কিছু করবেন, ভিন্ন কিছু পরবেন। কয়েক মাস ধরে একটা বড় দল কাজ করে গোলাপি এই লেহেঙ্গাটি বানিয়েছে। এখানে ফ্রি স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের আঁকা ছবি আর তাঁদের নাম এমব্রয়ডারি করা।
আলিয়া ভাট একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় অভিনেত্রী এবং গায়িকা, যিনি মূলত বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ২০১৭ সালে থেকে তিনি ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় এবং ২০১৭ সালে ফোর্বস এশিয়ার থার্টি আন্ডার থার্টি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ভাট পরিবারে জন্মগ্রহণকারী আলিয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজদানের কন্যা। ১৯৯৯ সালে তনুজা চন্দ্র পরিচালিত সংঘর্ষ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরবর্তীকালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসাবে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও বরুণ ধবনের বিপরীতে করণ জোহর পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্ত্বক স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার (২০১২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন তিনি; যেটি সে বছরের বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে।
আল্লু অর্জুন
মেয়ের সঙ্গে আল্লু অর্জুনের দীপাবলি। আল্লু অর্জুন একজন ভারতীয় তেলুগুভাষী চলচ্চিত্র অভিনেতা। পারাগু ও ভিদাম ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি দুইটি ফিল্মফেয়ার সেরা তেলুগু অভিনেতা পুরস্কার এবং আরিয়া ও পারাগু এর জন্য দুইটি নন্দী বিশেষ জ্যুরি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি গান্ত্রোত্রী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সিনেমা এ্যাওয়ার্ডের সেরা নবাগত পুরস্কার জিতে নেন। বর্তমানে তিনি জয় আলুক্কাস, কোলগেট, লট মোবাইলস এবং সেভেন আপের পণ্য দূত।
হিনা খান
হিনা খান হচ্ছেন একজন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী। তিনি স্টার প্লাসে প্রচারিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়ে অক্ষরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এর জন্য তিনি ভারতীয় টেলিভিশন এ্যাকাডেমি পুরস্কার ও দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারসহ আরও প্রায় ১৮টির মত পুরস্কার জয়লাভ করেছেন। দীপাবলিতে শাড়িতে হিনা খান।
তাপসী পান্নু
শুটিং সেটেই তাপসীর দীপাবলি। তাপসী পান্নু একজন ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় এবং বলিউড চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করেন। তাপসী একজন সফটওয়্যার পেশাজীবী হিসেবে কাজ করতেন, এবং অভিনেত্রী হবার পূর্বে মডেলিং কর্মজীবনে জড়িত ছিলেন। তার মডেলিং কর্মজীবনে তিনি কিছুসংখ্যক বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন, এবং ২০০৮ সালে “প্যান্টালুন ফেমিনা মিস ফ্রেশ ফেস” ও “সাফি ফেমিনা মিস বিউটিফুল স্কিন” খেতাব লাভ করেন।
মডেলিংয়ে সীমিত ভূমিকা রাখার পর, রাঘবেন্দ্র রাও পরিচালিত ২০১০ সালের ঝুম্মান্ডি নাডাম তেলুগু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটান তাপসী। এরপর তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন যেমন, ২০১১ সালে আদুকালাম, ভাস্তাধু না রাজু এবং মি. পারফেক্ট। তার তামিল আদুকালাম চলচ্চিত্র ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে ছয়টি পুরস্কার জিতে নেয়। তিনি এছাড়াও মালয়ালম এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
রিচা চাড্ডা
প্রার্থনারত রিচা চাড্ডা। রিচা চাড্ডা হলেন একজন ভারতীয় বলিউড অভিনেত্রী, যিনি হিন্দি ছবিতে কাজ করেন। ওয়ে লাকি! ওয়ে লাকি! নামক একটি কৌতুক বিষয়ক চলচ্চিত্রের ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক করার পরে তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের কাজ করেছিলেন। অতঃপর তিনি গ্যাংস্টার বিষয়ক চলচ্চিত্র গ্যাংস অফ ওয়াসীপুর (২০১২)-এর একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন; যেখানে তিনি একজন গুন্ডার মারমুখো এবং অত্যন্ত কটুভাষী স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ের জন্য তাঁকে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল। অতঃপর ২০১৩ সালে তিনি গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা নামক একটি হিন্দি চলচ্চিত্রের একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন; যেখানে তিনি দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম সফল একটি চলচ্চিত্র।
নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী
ছবিটি পোস্ট করে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী জানিয়েছেন দীপাবলির শুভেচ্ছা। নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। সিদ্দিকী ভারতীয় কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে; ব্ল্যাক ফ্রাইডে (২০০৪), নিউ ইয়র্ক (২০০৯), পিপলি লাইভ (২০১০), কাহানি (২০১২), গ্যাংস অব ওয়াসিপুর (২০১২), গ্যাংস অব ওয়াসিপুর – ২য় পর্ব (২০১২), মানঝি (২০১৩), তালাশ (২০১২), বদলাপুর (২০১৫) এবং বজরঙ্গি ভাইজান (২০১৫)।
তিনি অসাধারণ অভিনয় শৈলীর সুবাদে তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং দ্য লাঞ্চবক্স চলচ্চিত্রের জন্য একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে এই পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি একবার করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার ও জি সিনে পুরস্কার লাভ করেন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি দুটি এমি পুরস্কার মনোনীত ধারাবাহিকে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে একটি হল নেটফ্লিক্সের মৌলিক ধারাবাহিক স্যাক্রেড গেমস এবং জেমস ওয়াটকিন পরিচালিত ম্যাকমাফিয়া।
নোরা ফাতেহি
নোরা ফাতেহির দীপাবলি। নোরা ফাতেহি একজন কানাডিয়ান নৃত্যশিল্পী, মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা। তিনি এসেছেন এক মরোক্কান-কানাডিয়ান পরিবার থেকে এবং বেড়ে উঠেছেন কানাডায়। তিনি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি ‘হৃদয়ে ভারতীয়’ বলে নিজেকে অভিহিত করে থাকেন। রোয়ার:টাইগার্স অব দ্য সুন্দরবনস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল।
তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র টেম্পার, বাহুবলী: দ্য বিগিনিং ও কিক ২ চলচ্চিত্রে আইটেম গানে পারফর্ম করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০১৫ সালে তিনি বিগ বস- এ প্রতিযোগী ছিলেন এবং ৮৪ তম দিনে তিনি প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেন। ২০১৬ সালে তিনি নাচবিষয়ক রিয়েলিটি শো ঝলক দিখল যা তে অংশ নিয়েছিলেন।
মালাইকা অরোরা
মালাইকা স্পেশাল দীপাবলি লুক! ভারতে এমটিভি চালু হবার পর তিনি ছিলেন চ্যানেলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও জকি বা ভিজে। তিনি দ্রুত ভারতে একজন আকর্ষনীয় মডেল ও উপস্থাপিকায় পরিনত হন। মালাইকার মা একজন মালায়লী এবং বাবা একজন পাঞ্জাবী। তার পিতা অনিল অরোরা নৌবাহিনীতে কাজ করতেন।
আয়ুষ্মান খুরানা
আয়ুষ্মান খুরানা লিখেছেন, দীপাবলিতে তাঁর পরিবার সামাজিক দূরত্ব মেনে অবস্থান করছে। তিনি তাঁর পরিবার থেকে ঠিক ৬ ফুট দূরত্বে অবস্থান নিয়েছেন। আয়ুষ্মান খুরানা একজন ভারতীয় অভিনেতা এবং সঙ্গীত শিল্পী। ২০১২ সালে টেলিভিশনে উপস্থাপনার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করা খুরানা সুজির সরকার পরিচালিত রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের চলচ্চিত্র ভিকি ডোনারে অভিনয়ের মাধ্যেম বলিউডে পা রাখেন। চলচ্চিত্রটি ব্যাবসায়িকভাবে সাফল্য অর্জন করে।
কিয়ারা আদভানি
কিয়ারা আদভানি একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি প্রধানত হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালের ফুগলি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করার পর তিনি দুইটি অত্যন্ত সফল চলচ্চিত্রে তারকা চরিত্রে কাজ করেন, যার একটি ক্রীড়া চলচ্চিত্র এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (২০১৬) এবং একটি পুরুষের বেপরোয়া প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত কবির সিং (২০১৯)।
জাহ্নবী কাপুর
জাহ্নবী লিখেছেন, ‘দীপাবলীতে আপনারা ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন।’ জাহ্নবী কাপুর হলেন একজন ভারতীয় বলিউড চলচ্চিত্রের উদীয়মান অভিনেত্রী। তিনি ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রীদেবীর কন্যা। হিন্দি চলচ্চিত্র “ধড়ক” দিয়ে তার বলিউডে অভিষেক হয়।
সারা আলী খান
শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার সুস্বাস্থ্য আর মঙ্গল কামনা করেছেন সারা আলী খান। সারা আলি খান হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংয়ের কন্যা। জন্মসূত্রে তিনি পতৌদি পরিবারের সদস্য এবং মনসুর আলি খান পতৌদি ও শর্মিলা ঠাকুরের নাতনি। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর, ২০১৮ সালে, সারা রোমান্টিক চলচ্চিত্র কেদারনাথে সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে অভিনয় করার মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন।
শহীদ কাপুর
শহীদ কাপুরের বাড়িতে চলছে দীপাবলি উৎসব। ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘বাড়িতে চলছে এলোমেলো রঙের উৎসব। এই আনন্দে হৃদয় পরিপূর্ণ হয়। অন্য সবকিছু আসে–যায়। কিন্তু এই রং লেগে থাকে মনের কোণে।’ শাহিদ কাপুর হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। শাহিদ কপুর অভিনেতা পঙ্কজ কপুর ও অভিনেত্রী নীলিমা আজিমের ছেলে। শাহিদের বয়স যখন তিন বছর, তখন তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শাহিদ তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। ১০ বছর বয়সে শাহিদ মায়ের সঙ্গে মুম্বই চলে আসেন। সেখানে তিনি শিয়ামক দাবারের ড্যান্স অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৯০-এর দশকে কয়েকটি চলচ্চিত্রে শাহিদ সহ-নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীকালে তিনি কয়েকটি মিউজিক ভিডিও ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেন।
২০০৩ সালে ইশক ভিশক নামে একটি রোম্যান্টিক কমেডি ছবিতে শাহিদ প্রথম প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটি ‘স্লিপার হিট’ হয়েছিল। এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ট পুরুষ নবাগত পুরস্কার পান। এরপর তাঁর অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র বাণিজ্যিক সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। শেষে অমৃতা রাওয়ের বিপরীতে সুরজ বরজাত্যের পারিবারিক ড্রামা চলচ্চিত্র বিবাহ (২০০৬) বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে। ইমতিয়াজ আলির রোম্যান্টিক কমেডি ছবি জব উই মেট-এ (২০০৭) এক দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার বিভাগে মনোনয়ন পান।
সালমান খান
দীপাবলিতে পাঞ্জাবি পরে সালমান খান। তিনি লিখেছেন, ‘বছরটা সবার ভালো যাক।’ আব্দুর রশিদ সেলিম সালমান খান হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি মাঝে মাঝে গানও গেয়ে থাকেন। ত্রিশ বছরের অধিক সময়ের কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অভিনয়ের জন্য দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। বলিউডের সবচেয়ে বড় তারকা সালমান খানকে বিশ্ব ও ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম ব্যবসাসফল অভিনয়শিল্পী বলে আখ্যায়িত করা হয়। ফোর্বস সাময়িকীর ২০১৮ সালের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা ১০০ তারকা বিনোদনদাতা তালিকা অনুসারে সালমান খান $৩৭.৭ মিলিয়ন আয় করে ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় এবং সারা বিশ্বে ৮২তম স্থান অধিকার করেন।
চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সালমান খান ১৯৮৮ সালে বিবি হো তো অ্যায়সি চলচ্চিত্রে একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন।
গওহর খান
প্রেমিক জাইদ দরবারের সঙ্গে দীপাবলিতে ভারতের ছোট, বড় ও মাইক্রো পর্দার জনপ্রিয় মুখ গওহর খান। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের এই আনন্দ আর ভালোবাসা পৌঁছে যাক আপনার পর্যন্ত।’
গওহর খান একজন ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী। মডেলিং হিসেবে মিডিয়াতে আগমনের পরে তিনি ২০০৯ সালের যশরাজ ফিল্মস এর রকেট সিং: সেলসম্যান অব দ্যা ইয়ার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এছাড়াও খান এ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র গেম (২০১১), এবং প্রতিশোধমুলক নাটকীয় চলচ্চিত্র ইশাকজাদে (২০১২) অভিনয় করেন। খান ধারাবাহিকভাবে “না পেরে কাঞ্চন মালা” (শংকর দাদা এম.বি.বি.এস., ২০০৪), “নাশা নাশা” (আন: মেন এ্যাট ওয়ার্ক, ২০০৪), “পর্দা পর্দা” (ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই, ২০১০) এবং “জাল্লা ওয়াল্লা” এবং “চক্রা জায়ান” (ইশাকজাদে, ২০১২) অসাধারণ নৌপুন্য প্রদর্শন করেন।
খান ২০১৩ সালের বিগ বস ৭ বিজয়ী এবং ২০০৯ সালের ঝালাক দিকলাজা ৩ এর প্রথম রানার আপ বিজয়ী। তিনি ২০১১ সালের তার নিজের নামে রিয়ালিটি শো দ্যা খান সিস্টার এ বড় বোন নিগার খানকে নিয়ে সঞ্চালন করেন। এছাড়াও তিনি গানের প্রতিযোগীতামূলক রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান র স্টার (২০১৪) ইয়ো ইয়ো হানি সিং উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় ছাড়াও তিনি বলিউড মিউজিক্যাল চলচ্চিত্র জানগুরা একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।