টিকটক ভিডিও নিয়ে বিজ্ঞানীদের সতর্কতা

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও তৈরির অন্যতম প্ল্যাটফরম হলো টিকটক। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী অনেকের কাছেই জনপ্রিয় এই মিডিয়া। এবার সেই টিকটকে চুল তোলার চিকিৎসা বিষয়ক ফুল ফেইস ভাইরাল ভিডিও প্রকাশে সতর্ক করছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক করার তথ্য জানানো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভাইরাল ভিডিওতে যেসকল ব্যক্তির চেহারা, মুখ ও গলা দেখানো হয়েছে, সেসকল ব্যক্তির চেহারা, মুখ ও গলা বিশেষ করে কান ও নাকের ছবি সরিয়ে ফেলা হবে।

যেতে ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিস্ট বলছে, ‘চুল তোলা চিকিৎসার ভিডিওতে নাক ও কানের ভেতরের ছবি না তুলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাক ও কানের ছবি তোলার কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি আছে এ কারণে সতর্ক করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘টিকটককেও এই বিষয়ে সতর্ক করা উচিত।’

উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডে অবস্থিত কাপসালন ফ্রিডম নামে একটি সেলুনকে ৮ লাখ টিকটক ব্যবহারকারী অনুসরণ করেন। এই সেলুন থেকে প্রথম ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়ে। আর এই ভিডিওটি প্রথমবার ৮ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারী দেখেছে। ভিডিওটির শেষাংশে একজন কাস্টমারের চেহারা দেখানো হয়েছে। ফ্রিডম সেলুনের নাপিত রেনাজ ইসমাইল জানিয়েছে মধ্যেপ্রাচ্যে যেখানে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন সেখানে এটি একটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু তিনি এটিকে নতুন স্তরে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বে সবার আগে এই ধরনের ভিডিও তৈরি করেছি। এই ধরনের ভিডিও চামড়ার জন্য ক্ষতিকর নয়।’

ইসমাইল এখন তার এই ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার জন্য হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন। তিনি এসব ভিডিও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে প্রকাশ করেন। তবে সেগুলো তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।

পশ্চিম সাসেক্সে অবস্থিত জন অ্যান্ড গিংগার সেলুনে কর্মরত এক নাপিত এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা মনে করি এর মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হবে। আর এটিই মূল কারণ।’ এতে ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এসব ভিডিওতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে।

চর্মরোগের এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ভিডিওতে আমি ব্যক্তিগতভাবে শিশুদের ব্যবহার করার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে শিশুদের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বিষয়ে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করাই অভিপ্রেত।’