জেনেনিন পেয়ারা পাতার জাদুকরী গুনাগুন সম্পর্কে

আমরা সবাই পেয়ারা খেতে ভালবাসি এবং খেয়েও থাকি। কিন্তু আপনাদের মধ্যে কয়জন আছে, যারা পেয়ারা পাতা খেয়ে থাকেন। কয়জন জানে পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে। নিচে পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্যগুণ তুলে ধরা হল।

১) পেয়ারা পাতার চা বানিয়ে নিয়মিত খেলে এটি রক্তের বাজে কোলেস্ট্রলের মাত্রা অনেক কমিয়ে দেয়। পেয়ারার পাতা রক্তে ভালো কোলেস্টলের মাত্রা ও বাড়ায়।

(২) পেয়ারা পাতার চায়ের মধ্যে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রি কমাতে কাজ করে থাকে।

(৩) কফ ও ব্রঙ্কাইটিস কমাতেও পেয়ারা পাতার চা খুব কার্যকরি।

(৪) পেয়ারা পাতার চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি চর্বি কমাতে কাজ করে এবং পেট ভরা ভরা রাখে। ফলে ওজন কমে যায়।

(৫) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত পেয়ারার চা পান করা ভালো। এটি রক্তে কোলেস্টলের মাত্রা কমাতে কাজ করে।

(৬) পেয়ারা পাতা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এ পাতা রক্তকে অতিরিক্ত ঘন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং রক্ত চলাচল সচল রাখে।

(৭) পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটান। এর পর ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে পানি চুলে মাসাজ করুন। এতে চুল পড়া কমবে।

আপনারা যারা পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতেন না। পেয়ারা পাতা গাছ থেকে পড়ে নষ্ট হয়ে যেত তারা আজ থেকে সচেতন হন। আর পেয়ারা পাতা নষ্ট হতে না দিয়ে এ পাতার চা বানিয়ে খান। তবে আপনার শরীর থাকবে সুস্থ, সবল ও কার্যক্ষম।

চুল পড়া রোধ করে পেয়ারা পাতা:
চুল পড়া কমাতে পেয়ারা পাতার রস ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই রস ব্যবহার চুল হবে মসৃন ও ঝকঝকে। বিশেষঞ্জদের মতে, পেয়ারা পাতা ভিটামিন বি ও মিনারেলে ভরপুর। ভিটামিন বি চুলকে পুষ্টি সমৃদ্ধ করে।

পেয়ারা পাতায় থাকা ভিটামিন বি নষ্ট হয়ে যাওয়া হেয়ার রুটের কোষ মেরামত করে চুলকে মসৃন করে তোলে। তবে পেয়ারা পাতার রস সরাসরি চুলে না দেওয়াই ভালো। অনেকগুলো পরিষ্কার পেয়ারা পাতা নিয়ে তা এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। ১৫ – ২০ মিনিট সেই পানি ফুটতে দিতে হবে। এতে পেয়ারা পাতার সমস্ত গুণাগুণ পানিতে চলে আসবে।

এরপর পেয়ারা পাতার পানি ঠান্ডা করে ছেকে শিশিতে সংরক্ষন করা যেতে পারে। সংরক্ষন করা পানি প্রতিদিন চুলের গোড়া ও চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিতে হবে। কয়েক মাসের মধ্যে তফাৎ আপনি বুঝতে পারবেন।

(৮) পেয়ারা পাতা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর করে। এ পাতায় অনেক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক শক্তি আছে। যা অন্ত্রকে ক্ষারীয় করে জীবানু বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। এ পাতা অতিরিক্ত মিউকাস ক্ষরণ রোধ করে। তাই ডাইরিয়া বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর করতে এটি খুবই উপকারি।

(৯) পেয়ারা পাতা ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধেও কাজ করে থাকে। এ পাতায় প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট লাইকোফেন থাকে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। স্তন ক্যান্সার, জরায়ু মুখের ক্যান্সারে এ পাতা খুবই কার্যকর।

(১০) পেয়ারা পাতা সর্দি-কাশি নিরাময় করে থাকে। এ পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও আয়রন। যা বেশি মিউকাস ক্ষরনে বাধা দিয়ে থাকে। এটি জীবানুর বংশ বৃদ্ধি রোধ করতেও সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে কাচা পেয়ারা অনেক বেশি উপকারি।

(১১) পেয়ারা পাতা অ্যালার্জির পাশ্বপ্রতিক্রিয়া রোধক হিসেবে কাজ করে। এ পাতা দেহে হিস্টামিন তৈরি প্রক্রিয়া নিরাময় করে থাকে। পোকা মাকড়ের কামড়ে ফুলে গেলেও পেয়ারা পাতার ব্যবহার খুবই উপকারি।

(১২) পেয়ারা পাতা ব্রন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এ পাতায় থাকা ভিটামিন সি ব্রন কমাতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। এ পাতার সঠিক ব্যবহার মুখের কালো দাগও দূর করে থাকে।