শীতে খুসখুসে কাশি থেকে সুরক্ষা পেতে যা যা করনীয়

সারা দেশেই শীত বেশ জেঁকে বসেছে। শীত এলে ঠাণ্ডায় জ্বর-কাশি খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। শীতের সকালে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কুয়াশা পড়ছে। এই সময় কাশি, সর্দি, নিঃশ্বাসে সমস্যা হওয়ার মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে দূষণ, যার ফলে খুসখুসে কাশি খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই গলা ঠিক রাখতে, এই সময় কাশি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলুন। আর এতেই আপনাকে খুসখুসে কাশি থেকে দিবে পরিত্রাণ। তাহলে জেনে যাক খুসখুসে কাশির পাঁচটি ঘরোয়া চিকিৎসা:-

* ঠাণ্ডা লাগা থেকে মুক্তি দেয় মধু। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে যা গলায় জমা সর্দি দূর করতে সাহায্য করে। গলা খুসখুস করলে চায়ের সঙ্গে দুই চামচ মধু বা গরম পানি ও লেবুর সঙ্গে দুই চামচ মধু খেলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

* লবণ পানিতে গার্গল ফুসফুসে মিউকাস নষ্ট করে, পাশাপাশি ন্যাসাল প্যাসেজ পরিষ্কার হয় নুন জলে গার্গল করলে। কাশি থাকলে এক কাপ ঈষৎ উষ্ণ পানিতে ১/৪ চা চামচ লবণ দিয়ে, তা দিয়ে গার্গল করলে খুব তাড়াতাড়ি উপশম মিলবে। বাচ্চার ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ না করাই ভালো। বাচ্চারা গার্গল করতে গিয়ে লবণ-পানি খেয়ে ফেলে।

* ইউক্যালিপটাস ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলও এ ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। তাড়াতাড়ি ফল পেতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে বুকে ও গলায় মালিশ করলে উপশম মিলতে পারে। ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলের স্টিম নিলেও নাক ও গলা পরিষ্কার করে যায়।

* কাশতে কাশতে গলা ব্যথা হয়ে গেলে পুদিনা সেই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ বার পুদিনা দিয়ে বানানো চা খেলে কাশিও কমতে পারে, গলা ব্যথাও বা অস্বস্তিতেও উপশম মিলতে পারে।

* সর্দি হলে আদার রস খেলে তা খুব উপকার করে। আদা থেঁতো করে অনেকেই চায়ে দিয়ে দেন। সেই চা খেলেও কাশি কমে। তবে বেশি আদা খাওয়া ভালো না, কারণ এটি পেটের সমস্যা তৈরি করে ও হার্ট বার্নও করে। তাই সামান্য আদা দিয়ে দিনে একবার কয়েকদিন চা বা সরবত খেলে উপশম পাওয়া যেতে পারে।