অ্যাবডোমিনাল ক্যানসার রোধে খেজুর কার্যকর ভূমিকা রাখে!

খেজুর হলো মরু অঞ্চলের ফল। খেজুর খুবই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি ফল। পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ এই ফলে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক রয়েছে। খেজুরে থাকা এসব উপাদান মানুষের শরীরের আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে নিয়মিত খেজুর খাওয়ায় কিছু ওষধিগুণ রয়েছে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরে প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাহলে আসুন জেনে নেই নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ওষধি গুণাগুণ সম্পর্কে:-

১. ক্যানসার প্রতিরোধ: প্রাকৃতিক আঁশে পরিপূর্ণ খেজুর ফল। গবেষণা বলছে, নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের ক্যানসার ঝুঁকি অনেক কম থাকে। সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে, অ্যাবডোমিনাল ক্যানসার রোধে খেজুর কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং অনেক সময় ওষুধের থেকে ভালো কাজ করে খেজুর।

২. হাড় শক্তিশালী করে তোলা : খেজুর পুষ্টি ও প্রোটিনে ভরপুর হওয়ায় শরীরের দুর্বল হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও খেজুরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম উপাদান হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৩. কোলেস্টেরল ও ফ্যাট : খেজুরে কোনো কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করলে অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা যায়।

৪. হজম শক্তি : খেজুর কিছু সময় পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার ফলে হজমের উন্নতি হয়। খেজুরে থাকা উচ্চ ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যতা কমায়।

৫. ত্বক ভালো রাখে : খেজুরে থাকা ভিটামিন সি ও ডি ত্বককে মসৃণ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এন্টি এজিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মরু অঞ্চলের এই ফল।

৬. প্রোটিন : মানবদেহের জন্য প্রোটিন খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে পেশী গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের জন্য অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করে।