যেভাবে দূর হবে নারীর পিসিওডির সমস্যা

নারীদের পিসিওডি কেন হয়, তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে মতভেদ আছে। নারীর এই পিসিওডির সমস্যা কী? এ রোগের উপসর্গ কী? কীভাবে তা দূর করবেন? এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

পিসিওডি কী ও কেন হয়:-

পিসিওডি সম্পূর্ণ নাম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। পলি কথার অর্থ হলো অনেক। অর্থাৎ পিসিওডি কথাটির বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় ওভারি অর্থাৎ ডিম্বাশয়ে অনেকগুলো সিস্ট। পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর একজন নারীর ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসেই ডিম নির্গত হয়। যৌন সঙ্গম না করলে সেই ডিমগুলো রক্তের মাধ্যমে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। তবে পিসিওডির ক্ষেত্রে হরমোনের তারতম্য ঘটায় তাতে সমস্যা দেখা দেয়। সেই অপরিণত ডিমগুলোই দেহ থেকে বের না হতে পেরে ক্রমে তা জমে জমে সিস্টের আকার নিতে শুরু করে। শুরু হয় সমস্যার।

এতে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মনে করেন, ওবেসিটি এই রোগের অন্যতম কারণ। কিন্তু ওবেস নেই এমন নারীও পিসিওডিতে আক্রান্ত হয়েছেন, এমনটা প্রায়ই দেখা যায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা দায়ী করেছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাকে। অত্যধিক পরিমাণে ফাস্টফুড, রেড মিট খেলেও দেখা দিতে পারে এই রোগ। মূত্রনালির সংক্রমণ অথবা স্ট্রেসের কারণেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এই রোগ।

এ রোগের উপসর্গগুলো হলো:

* অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা

* পেটে ব্যথা

* নিয়মিত পিরিয়ড হলেও তা দীর্ঘায়িত হওয়া

* সন্তান ধারণে অক্ষমতা

* চুল পড়ার সমস্যা

* ব্রণের সমস্যা

* অবাঞ্ছিত রোমবৃদ্ধি

* মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি

এ রোগের নিরাময়:

এ রোগটি প্রথম দিকে ধরা না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। উল্লিখিত উপসর্গগুলোর যে কোনও একটি পরিলক্ষিত হলেই সচেতন হতে হবে। প্রথম অবস্থায় ধরা পড়লে এই রোগ নিরাময় সম্ভব জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমেই। বর্জন করতে হবে বাইরের খাবার, ফাস্ট ফুড। কমাতে হবে ওজন। নিয়মিত ব্যয়াম, যোগাভ্যাস করে শরীর রাখতে হবে ফিট। অনিয়মিত পিরিয়ড হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।