পেঁপে খেলে ক্ষতি হতে পারে যেসব ক্ষেত্রে

শরীরের জন্য কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের পেঁপেই উপকারী। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন ও কাইমোপ্যাপেইন নামের প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এ উপাদান আমিষ ভাঙতে ও হজমে সাহায্য করে। আর পাকা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি। ভিটামিন এ ও সি শরীরের রোগপ্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যুদ্ধ করে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে, দাঁত, চুল, ত্বকের সুরক্ষা করে।

কিন্তু পেঁপে খাওয়ার আছে বিপদও। পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক কোন কোন ক্ষেত্রে?

শিশুদের সমস্যা:
পেঁপে এক বছরের কম বয়সের শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়। এতে তাদের হজমের সমস্যা হতে পারে।

শ্বাসকষ্টের সমস্যায়:
অনেকের ক্ষেত্রে পেঁপে শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এর একটি উপাদান কারও কারও শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। তাই যারা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন, তাদের পেঁপে এড়িয়ে চলা উচিত।

ডায়াবেটিসের সমস্যায়:
যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভোগেন, তাদের পেঁপে এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে।

কোষ্টকাঠিন্য থাকলে:
যাদের কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা আছে, তাদেরও পেঁপে এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ বেশি পেঁপে খেলে পেটে জলের পরিমাণ কমে যায়। তাতে এই সমস্যা বাড়ে।

অ্যালার্জি:
কাঁচা পেঁপের বোটা থেকে বের হওয়া সাদা তরল চামড়ায় অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে।

গর্ভপাত:
পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এর বীজ ও শেকড় গর্ভপাত ঘটাতে পারে। কাঁচা পেঁপে জরায়ু সংকুচিত করে ফেলে। পাকা পেঁপেতে এই ঝুঁকি কিছুটা কম। তবে গর্ভবতী হলে পেঁপে এড়িয়ে চলাই ভালো।

জন্মদোষ:
পেঁপে পাতায় থাকা ‘পাপাইন’ নামক উপাদান গর্ভের সন্তানের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। সন্তান বুকের দুধ খাওয়ানোর বয়সে মায়ের পেঁপে খাওয়া ক্ষতিকর কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে সাবধানের মার নেই, তাই গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান জন্মের কয়েক মাস পর্যন্ত পেঁপে এড়িতে চলা উচিত।

প্রজনন ক্ষমতা কমাতে পারে:
পেঁপের বীজের নির্যাস পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমাতে সক্ষম। বীর্জে শুক্রাণুর সংখ্যা কমাতে এবং শুক্রাণুর নড়াচড়ার ক্ষমতা কমার পেছনেও দায়ী হতে পারে পেঁপে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ:
পেঁপে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। তাই যারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান তাদের জন্য পেঁপে বিপজ্জনক হতে পারে।