নিউইয়র্কে সাহিত্যিক সুলাতানা ফিরদৌসীকে দেয়া হলো সম্মাননা

সুলতানা ফিরদৌসী যিনি একজন জনপ্রিয় কবি ও সাহিত্যিক। এ মাসের ১৪ই ডিসেম্বর তাকে সম্মাননা জানিয়েছে নিউইয়র্কের বাংলা বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মুক্তধারা।

করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে করা অনুষ্ঠানে সীমিত সংখ্যক অতিথি উপস্থিত হয়েছিলেন জ্যাকসন হাইটসের মুক্তধারা কার্যালয়ে। বর্তমানে নিউইয়র্ক সফর করছেন সুলতানা ফিরদৌসী।
অনুষ্ঠানে তার হাতে ফুল ও শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয়। মুক্তধারার প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিৎ সাহার সভাপতিত্বে এ সময় সুলতানা ফিরদৌসী ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন লেখক আদনান সৈয়দ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেবাশিষ সাহা।

এ সময় সুলতানা ফিরদৌসী বলেন, “প্রবাসে এমন আয়োজনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এমন সম্মাননা ভালো কাজের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেয়”। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও লেখালেখি নিয়েই থাকতে চান। অনুষ্ঠানে একটি কবিতা সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

এ সময় সুলতানা ফিরদৌসী তার লেখা “বৃক্ষেরা ভিজে যায়” ও “অরণ্যে ফিরে আসি” কাব্যগ্রন্থ থেকে দুটি কবিতা পাঠ করে শোনান। অনুষ্ঠানের আয়োজক মুক্তধারার প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিত সাহা বলেন, “সুলতানা ফিরদৌসীকে সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। তার উপস্থিতি প্রবাসীদের অনেক উৎসাহিত করছে”।

কবি-লেখক সুলতানা তার চমৎকার লেখনী ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে সাহিত্য অঙ্গণে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। এগিয়ে চলছেন প্রতিনিয়ত তার বৈচিত্রময় লেখনিকে সামনে রেখে। ১৯৯৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “কীট ও দ্রোণপুষ্প” প্রকাশের মাধ্যমে যে পথচলার শুরু তিনি করেছিলেন গত ২২ বছর ধরে সে পথ ধরে লেখালেখি করতে করতে তিনি পেরিয়ে এসেছেন বহু বাধা বিপত্তি ও জীবনের নানা বাক।

পারিবারিক জীবনের সবকিছু ঠিক রেখেও তিনি সফলতার সাথে বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন নতুন নতুন কবিতা, উপন্যাস, ছোট গল্প। তিনি বহু সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে।

তিনি সমান্তরালে ভাবে লেখালেখির পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স করে তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন অনেকদিন।

এছাড়া তিনি নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। ওতপ্রোতভাবে নারী মুক্তি ও নারী অধিকার আন্দোলনের সাথে তিনি যুক্ত আছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ ও এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে তার এ অবদান প্রশংসনীয়।