আমিন বাজারে বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্যভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আমিন বাজার এলাকায় ২৫ বছর মেয়াদী ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।

কাজটি পেয়েছে চীনা মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএমইসি)। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি ক্রয় প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে সবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৫টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ২৭১ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ২৯২ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৬২৮ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৬৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ টাকা।

তিনি বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্য দিয়ে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আমিন বাজার এলাকায় ২৫ বছর মেয়াদী ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করবে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, এ কাজটি পেয়েছে চীনের প্রতিষ্ঠান চীনা মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএমইসি)। এটা ইনসিনারিয়েশন পদ্ধতিতে বর্জ্য পোড়ানোর একটি প্ল্যান্ট। আমরা সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাব। দেশে এটা নতুন ধরনের পদ্ধতি যেখানে বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। প্রতি কিলোওয়াট দাম পড়বে ১৮.২৯৫ টাকা।

এছাড়া বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন খুলনা জোনের খুলনা সড়ক বিভাগের আওতাধীন ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের ১ম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর উপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় হবে ৩০২ কোটি ৭৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা। ব্রিজ নির্মাণসহ পূর্ত কাজটি পেয়েছে ওয়াহিদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।