ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে রোহিঙ্গাদের বিশাল বহর

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিশাল বহর। আজ বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে ১০টি বাস করে নোয়াখালীর ভাসানচরের দিকে রওনা হনতারা। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাদেরকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-১৫। ধারণ করা হচ্ছে, প্রতিটি বাসে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কত রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচর যাচ্ছে নির্ভরযোগ্য কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি। কিন্তু পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে গত বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার ভোর সকাল থেকে ক্যাম্প থেকে নিয়ে এসে উখিয়া কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। সেখান থেকে এ পর্যন্ত ১০টি বাস ভাসানচরে উদ্দেশে রওয়ানা দিলেও আরও ২০টির অধিক বাস সেখানে রয়েছে। ওই বাসগুলো রোহিঙ্গা ভর্তি করে যেকোনও সময় রওনা দিতে পারেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগাস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।

কিন্তু ২০১৮ সালে যখন প্রথম তাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়, তখন থেকেই রোহিঙ্গারা সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের একটি দলকে ভাসানচর পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।