রাণীশংকৈলের কচু চাষিদের মুখে হাসি

কচু মানুষের চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব এলাকায় কম বেশি কচু দেখতে পাওয়া যায়। অল্প পরিশ্রম করে অধিক লাভবান হওয়া যায় এমন একটি ফসল কালো কচু। এই কালো কচু চাষ করেই লাভবান হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের প্রান্তিক চাষিরা। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের কচুর চাষ হলেও খাবার উপযোগী এই কালো জাতের কচুতে হাসি ফুটছে চাষীদের। উঁচু জমিতে অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন পাওয়া যায় এছাড়াও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করা যায় বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের কালো কচু চাষী শাহাদত হোসেন জানান, এটি এমন একটি ফসল যা থেকে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তেমন একটা খরচ এবং পরিশ্রম ছাড়াই দু-একটা নিড়ানী এবং জৈব সার দিয়ে উৎপাদনে লাভ বেশি হয়। এতে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা।

এবার কচু চাষী শাহাদত হোসেন ৩৩ শতাংশ জমিতে কচু চাষ করেছেন। কিছু দিন আগে এই জমির অর্ধেক কচু তুলে প্রতি কেজি ৩৯ টাকা দরে বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন। আর জমির বাকি কচু আরও ভালো দামে বিক্রি এবং ওই জমি থেকে ৬০-৬৫ হাজার টাকা আয় হবে বলে তিনি আশাবাদী।

একই ইউনিয়নের বাসিন্দা কচু চাষী দুলাল বলেন, জমিতে কচুর বীজ রোপণের কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন কচু বাজারে বিক্রি করা যায়। এই সবজি চাষে কৃষকের উৎপাদন খরচও কম লাগে। আমি এবার কয়েক শতক জমিতে সাদা কচুও চাষ করেছি।

জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় বেদনাথ জানান, কচু শাক একটি বিষমুক্ত সবজি। কচুর শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি , সি , ক্যালসিয়াম ও লৌহ আছে। কচু চাষীদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।