নিম্ন আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা চলতে বাধা নেই

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীর পুনঃলজেরার আবেদনের বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর কোনো আদেশ (নো অর্ডার) দেননি আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

এ আদেশের ফলে মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১১ সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আজ আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত ২২ অক্টোবর দুদকের করা এ মামলায় খালেদা জিয়ার করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন হাইকোর্ট। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, খালেদা জিয়া তার আবেদন অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষের ২ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা ও নয় সাক্ষীকে জেরা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ওই ২ সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া নয়জন সাক্ষীর বিষয়ে তারেক রহমানের (মামলার অন্যতম আসামী) ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে, ওই জেরা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে।

এর পর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। উভয় মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় চার্জগঠন গঠন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর   ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস