করোনা পরিস্থিতিতে যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের পুরস্কৃত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক, নার্স, সেনা, পুলিশসহ যারা বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলার কাজে নিয়োজিত আছেন, তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া ওই কনফারেন্সে তিনি বলেন, দুঃসময় আসছে। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে হানা দিতে পারে।

তিনি বলেন, এসময় যেসব ডাক্তাররা পালিয়ে আছেন, ভবিষ্যতে তারা ডাক্তারি করতে পারবেন কি না, সে চিন্তাও করতে হবে। দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৫ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া ওই কনফারেন্সে তিনি বলেন, দুঃসময় আসছে। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে হানা দিতে পারে।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যারা জীবন বাজি রেখে কাজে নিয়োজিত, তাদের তিনি পুরস্কৃত করতে চান জানিয়ে তাদের তালিকা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তাদের তিনি সম্মানী দিতে চান। তারা বিশেষ ইনস্যুরেন্স পাবেন। দায়িত্ব পালনকালে কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার নেবে। পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা করা হবে। ‘প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই বীমা পাঁচ গুণ বাড়ানো হবে। যারা করোনার সময় কাজ করছেন, জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, এই প্রণোদনা তাদের জন্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যারা পালিয়ে আছেন, তারা এই প্রণোদনা পাবেন না। ভবিষ্যতে তারা ডাক্তারি করতে পারবেন কিনা, সে চিন্তাও করতে হবে। কেউ যদি এখন কাজে আসতে চান, তবে তিন মাস তার কাজ দেখে তাদের কথা চিন্তা করা হবে। কাউকে শর্ত দিয়ে কাজে আনবেন না তিনি।

করোনাভাইরাসের রোগী সন্দেহে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র সে যেকোনোভাবে রোগে আক্রান্ত হয় কিন্তু সে যখন হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যায়, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় কোনো ডাক্তার পায়নি চিকিৎসা করতে। এটা সত্যিই খুব কষ্টকর, সত্যিই খুব দুঃখজনক যে ডাক্তাররা কেন চিকিৎসা করবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময় অনেকের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের খুঁজে বের করে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। যারা দিন আনে দিন খায়, ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাদের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। তারা নানা ধরনের কষ্ট সহ্য করছেন। অনেকে আছেন, যারা অনুদান নেবেন না, কিন্তু কিনে খেতে চান, তাদের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। যারা হাত পাততে পারবেন না, তাদের তালিকা করতে হবে। তাদের বাচ্চা নিয়ে যাতে কষ্ট না হয়। দুর্ভোগের সময় কেউ অনিয়ম করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।