তামিম-সাকিব-মুশফিক বিশ্বরেকর্ডের শীর্ষ পাঁচে

ক্রিকেট রেকর্ডের খেলা, এখানে প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেট প্রতিটি মুহূর্ত জন্ম দেয় একেকটি রেকর্ডের। এদের মধ্যে অনেক রেকর্ড ইতিবাচক ও গর্বের, আবার অনেক রেকর্ড নেতিবাচক ও লজ্জার। ক্রিকেটের অনেক রেকর্ডেই টাইগারদের দখলে । পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ওয়ানডে ফরম্যাটে কোন একটি নির্দিষ্ট মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন বাংলাদেশের তিন টাইগার। গর্বের এই রেকর্ড গড়া ক্রিকেটাররা হলেন- ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান ও মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।

ওয়ানডে ফরম্যাটে নির্দিষ্ট কোনো মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৭৭ ইনিংসে এই টাইগার ব্যাটসম্যান করেছেন ২৬১৯ রান।

তালিকায় তামিমের পরেই আছেন শ্রীলংকান কিংবদন্তি ও সাবেক ক্রিকেটার সনাথ জয়সুরিয়া। মাতারা হারিকেন খ্যাত এই শ্রীলংকান ব্যাটসম্যান কলম্বোর (শ্রীলংকা) আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৭০ ইনিংসে করেন ২৫১৪ রান।

তালিকার তিন নম্বরে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। সাকিবের রেকর্ডও মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। টাইগারদের ঘরের মাঠ হিসেবে পরিচিত এই ভ্যানুতে ৭৬ ইনিংসে ২৪৭২ রান করেছেন সাকিব আল হাসান।

নির্দিষ্ট মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার চার নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। আরব আমিরাতের বিখ্যাত শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫৯ ইনিংসে ২৪৬৪ রান করেছেন এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান।

শীর্ষ পাঁচের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই তালিকায় আছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। অন্য দুই টাইগার ব্যাটসম্যানের মতো মুশফিকের রেকর্ডটির ভ্যানুও মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। এই মাঠে মুশফিক ৮১ ইনিংস খেলে ২৩৫১ রান সংগ্রহ করেছেন।

মজার ব্যাপার, এই রেকর্ডে শীর্ষ পাঁচের সবাই এশিয়ান ক্রিকেটার। মূলত নিজ দেশে একটি ভ্যানুতে বেশি ম্যাচ খেলার কারণেই এমন রেকর্ডের সুযোগ পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য ব্যাতিক্রম শুধু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। তিনি দেশের বাইরের মাঠে রেকর্ডটি গড়েছেন।

দেশের ক্রিকেটে সাকিব-তামিম-মুশফিকের অবদান অসামান্য। এই তিন টাইগারের ব্যাটে ভর করেই অসংখ্য ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দেশের ক্রিকেটের প্রায় সব রেকর্ডই এই তিনজনের দখলে। এই ট্রিরত্নের হাত ধরে সামনে আরও অনেক বিশ্বরেকর্ডে বাংলাদেশের নাম উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা টাইগার ভক্তদের।