বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই

অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সুমন মাহবুব লেখেন, ‘আমার বাবা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মারা গেছেন।’ তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরো শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সংসদ সদস্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল জ্বর অনুভব করেন। ৪ সেপ্টেম্বর সকালে করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি সিএমএইচে ভর্তি হন। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাহবুবে আলমের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

৭১ বছর বয়সী মাহবুবে আলম ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। ১৯৭৫ সালে হাই কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি। ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৪৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাহবুবে আলম মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং পাবলিক প্রশাসনে এমএ পাস করেন। ১৯৭৯ তিনি সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংবিধান ও সংসদীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিপিএস) থেকে সাংবিধানিক আইন এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতিতে দুটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।