মেসি-ফাতির গোলে শুভ সূচনা বার্সার

মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচেই নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে ভিয়ারিয়ালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে কাতালানরা। ১৭ বছরের তরুণ স্প্যানিশ ফুটবলার আনফু ফাতির ঝলকে ক্যাম্প ন্যুতে জিতেছে বার্সেলোনা। দলের বড় জয়ে জোড়া গোল করেছেন আনসু ফাতি। পেনাল্টি থেকে এক গোল করেছেন লিওনেল মেসি। বাকি গোল এসেছে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পা থেকে।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুয়ে লা লিগার ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে পাত্তাই দেয়নি বার্সা। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় গোল করে কাতালান জায়ান্টদের এগিয়ে দেন ফাতি। কোম্যান যুগে নিজের প্রথম গোলটি তিনি করেছেন জর্দি আলবার দুর্দান্ত এক পাস থেকে। ফাতির গোলার মতো শট টপ-লেফট কর্নার দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে ফাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র ৪ মিনিট। এবার তার গোলের উৎস এই মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ফিরে আসা ফিলিপ্পে কুতিনহো। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফাঁকায় থাকা ফাতির কাছে বল পৌঁছে দেন আর তা নিচু শটে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তরুণ ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধের ৩৪তম মিনিটে সফরকারীদের বিপদ বাড়িয়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় বার্সা। এবার পেনাল্টি পাইয়ে দেন ফাতি। প্রতিপক্ষের বক্সে বল কাড়ার প্রতিযোগিতার মাঝে ফাউলের শিকার হন তিনি। রেফারি সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আর তা থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে চলতি মৌসুমে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান মেসি। ভিয়ারিয়ালের হতাশা আরও বাড়ে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে। এবার গোলদাতা তাদের নিজেদের খেলোয়াড় পাও তোরেস। মেসির ক্রস বক্সে থাকা বুসকেতসের দিকে যাওয়ার পথে পা বাড়িয়ে ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি উনাই এমেরির দলের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। ফাতির চিপে বল পেয়ে শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সেই প্রচেষ্টা রুখে দেন। ৬৬তম মিনিটে আরও একবার সুযোগ পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু এবার মেসির দুর্দান্ত শট সফরকারী দলের গোলরক্ষকের হাতে লেগে বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের শেষদিকে আরও একবার সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু আলবার পারফেক্ট ক্রস জায়গামতো পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন বার্সা অধিনায়ক। শেষ বাঁশি বাজার আগে মেসির আরও একটি শট এক হাতে ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে ভিয়ারিয়ালও। তবে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে কুবোর নেওয়া দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে ক্লিন শট বজায় রাখেন বার্সা গোলরক্ষক নেতো।

দ্বিতীয়ার্ধের কিছু সময় গড়াতেই বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যান বড় জয় নিশ্চিত দেখে দলের তরুণদের একটু ঝালিয়ে দেখেন। সুযোগ দেন ট্রিনকাও-পেদ্রিদের মতো তরুণদের। এছাড়া আনসু ফাতিকে বিশ্রাম দিয়ে ইনজুরি এবং ফর্মহীনতার কারণে গেল মৌসুমে বেঞ্চে কাটানো উসমান ডেম্বেলেকে মাঠে নামান রোনাল্ড কোম্যান। বার্সার বড় জয়ের ম্যাচে আঁতশি কাঁচের নিচে পড়বে সম্ভবত অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের পারফরম্যান্স।