যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন সাকিব

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছিলেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পরিকল্পনা ছিলো বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে বাতিল হয়ে যাওয়ায় এবং সামনে তেমন কোন সিরিজ ও না থাকায় আবারও পরিবারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।

গতকাল ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্বে থাকা ওয়াসিম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পরিকল্পনা ছিলো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের রশি টানাটানির কারণে স্থগিত হয়ে গেলো সিরিজটি। তাই সাকিব ফিরে যাচ্ছেন মার্কিন মুলুকে নিজের পরিবারের কাছে।

এর আগে, গত মাসের ২ সেপ্টেম্বর শ্রীলংকা সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। দেশে ফিরেই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় এক মাস বিকেএসপিতে নিবিড় অনুশীলন করেন তিনি। অন্যান্য সবার মতো সাকিব নিজেও আশায় ছিলেন শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে মাঠে ফেরার।

সাকিবের ভাগ্যটাই খারাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়ে গেছে কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড সমঝোতার মাধ্যমে জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে পরিবেশ-পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশকে স্বাগত জানাবে।

যেহেতু শ্রীলংকা সিরিজ খেলার জন্য দেশে ফিরেছিলেন সাকিব, কিন্তু সিরিজ না হওয়ায় আবারও পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে দুই কন্যাকে নিয়ে অবস্থান করছেন তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। করোনার শুরু থেকে সাকিব নিজেও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।

বিকেএসপিতে সাকিব পাশে পান শৈশবের দুই কোচ ও গুরুতুল্য নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। তাদের অধীনে প্রায় এক মাস ট্রেনিংয়ের পর বিরতি দিলেন সাকিব। শ্রীলংকা সফর পিছিয়ে না গেলে এ ট্রেনিং আরও লম্বা হতো। বিকেএসপিতে এই এক মাসে অনুশীলনে কী কী কাজ করেছেন সেটি সবার কাছেই অজানা। সাকিব নিজেই তার বিকেএসপির কোচদের অনুরোধ করেছেন সব গোপন রাখতে। নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, তার দেখা অন্যতম সেরা ট্রেনিং সেশন ছিল এটি।