করোনার প্রকোপ থাকলেও থেমে নেই কুমিল্লার সাহিত্যাঙ্গণ

করোনার প্রভাব এখন পর্যন্ত থাকলেও কুমিল্লায় সরব রয়েছে সাহিত্যাঙ্গণ। গত তিন মাসে কুমিল্লার একাধিক সাংবাদিক, কবি ও লেখক তাদের বই প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইগুলোর প্রকাশনা উৎসবও হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশের প্রাচীন সংবাদপত্র আমোদ সম্পাদক বাকীন রাব্বীর বই ‘রঙিন ঘুড়ি’।

এটির প্রকাশক: মোহাম্মদ হাতেম-অর-রশীদ, প্রচ্ছদ: আইনুল হক মুন্না। মুদ্রণ: ইন্ডাস্ট্রিয়েল প্রেস। এতে লেখকের ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে উঠে এসেছে প্রায় পাঁচ দশকের বাংলাদেশের নানা ইতিহাস। জাতীয় জীবনের নানা ঘটনা প্রবাহ। এটিকে দেশের পাঁচ দশকের সময়ের সারাংশও বলা যেতে পারে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বের করেছেন ‘করোনাযুদ্ধ’ শিরোনামের বই। বইয়ের বিভিন্ন অংশে সংযোজন করেছেন করোনা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের বিশ্লেষণ। এটি পড়ে সাধারণ পাঠক ও চিকিৎসকরা উপকৃত হবেন।

বইটির প্রকাশক: ডা. রোকসানা বেগম, প্রচ্ছদ: ফারহান ইনসানা, মুদ্রণ: ইন্ডাস্ট্রিয়েল প্রেস।কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক শিরোনাম পত্রিকার সম্পাদক নীতিশ সাহা প্রকাশ করেছেন গল্পের বই ‘নন্দিত স্পন্দন’। প্রকাশক: কারুবাক, প্রচ্ছদ: উত্তম সেন, মুদ্রণ: আহম্মদ প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং। অলংকরণ: গোলাম কিবরিয়া।

বইতে গল্পের সাথে সুন্দর অলংকরণ পাঠককে নতুন স্বাদের যোগান দিবে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক আলী আকবর মাসুম প্রকাশ করেছেন ‘জীবনের বৃত্তায়ন ও আপন বৃত্তান্ত’। এটি একটি মিশ্র প্রকাশনা। প্রথম অংশে মানবাধিকার বিষয়ে বিভিন্ন প্রবন্ধ। ২য় অংশে রয়েছে তার সাংবাদিকতা ও ব্যক্তি জীবনের স্মৃতিচারণ।

২য় অংশ পাঠককে বেশি কাছে টানবে। প্রকাশক: অধিকার ফাউন্ডেশন, প্রচ্ছদ: জয় আহমেদ, মুদ্রণে: রিয়াজ কম্পিউটার এন্ড অফসেট প্রেস।ডা.নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী লিখেছেন বাংলাদেশে গৌরব কুমিল্লার চান্দিনার কৃতি সন্তান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পণ্ডিত শীলভদ্রকে নিয়ে। বাংলাদেশের ইতিহাসে শীলভদ্রের আগে তার মতো এতো বড়মাপের উচ্চশিক্ষিত বাঙালি পণ্ডিতের নাম জানা যায় না।

শীলভদ্র ছিলেন একজন মহান শিক্ষক, মহাজ্ঞানী ও দার্শনিক। সে সময়ে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবেও তাকে বর্তমানে বিবেচনা করা হয়। বইয়ের নাম ‘মহাস্থবির শীলভদ্র’। প্রচ্ছদ করেছেন সুব্রত রায়। প্রকাশক রাজা পোদ্দার, মুদ্রণ: শরৎ ইমপ্রেসনশ, কলকাতা। ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী পেশায় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।