যে কারণে চাকরি ছাড়ছেন কমলা হ্যারিসের স্বামী

গত ৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশটিতে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। তিনি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে থাকা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের রানিংমেট।

এদিকে, স্ত্রী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কমলার স্বামী ডগলাস এমহফ চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্ত্রীকে দায়িত্ব পালনে সাহায্য করতেই মূলত তার এই সিদ্ধান্ত।

পেশায় আইনজীবী ডগলাস এমহফ ‘ডিএলএ পাইপার’ নামে একটি ল ফার্মে কাজ করতেন। সেখানে তিনি মূলত বিনোদন, খেলাধূল ও গণমাধ্যম ক্ষেত্রের মামলাগুলো দেখতেন। ২০১৭ সালে তিনি ওই ল ফার্মে যোগ দেন, তিনি ফার্মের অংশীদারদের একজন।

২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানের আগেই এমহফ চাকরি ছাড়বেন বলে জানা গেছে।

৫৬ বছরের এমহফ অবশ্য গত আগস্ট থেকেই ছুটিতে আছেন। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন আগস্টে তার রানিংমেট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে বেছে নেওয়ার ঘোষণার পরপরই নিজের কাজ ছেড়ে স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন এমহফ। অনেকে ওই সময় এমহফকে ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী প্রচারের ‘গোপন অস্ত্র’ বলেও বর্ণনা করেছেন। এমহফ নির্বাচনী প্রচারে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালানোয় বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

হ্যারিস প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এমহফও এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে ঢুকে গেছেন। কারণ, তিনিই যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টালম্যান’।