আর্মেনীয়রা যে কারণে নিজেদের বাড়ি-ঘর পোড়াচ্ছেন

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে শান্তি চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়া মহাদেশের রাষ্ট্র আজারবাইজান ও পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্র আর্মেনিয়ার মধ্যে। চুক্তির অংশ হিসেবে হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ান নাগোরনো-কারাবাখের আশপাশের অঞ্চলগুলো থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চলগুলো আজারবাইজানকে হস্তান্তর করা হবে।

বিবিসি জানিয়েছে, কিছু জাতিগত আর্মেনীয় তাদের নিজেদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে যাতে কোনও আজারবাইজানীয় প্রবেশ করতে না পারে।

এই বিতর্কিত অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তবে ১৯৯৪ সাল থেকে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা পরিচালনা করে আসছে। চুক্তি অনুসারে, আর্মেনিয়াকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে।

দুই দেশের সংঘাতের মূলে ওই নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল। এলাকাটি জাতিগত আর্মেনীয় অধ্যুষিত। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় ভোটাভুটিতে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে রায় দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। ১৯৯০ সালের ওই যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেই যুদ্ধ থামে ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।

এরপর থেকে এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের সমর্থনে আর্মেনিয়ার সরকার। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোর মধ্যস্থতায় দশকের পর দশক আলোচনা হলেও শান্তিচুক্তি অধরা থেকে গেছে।

সবশেষ গত মঙ্গলবার থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়। এতে বিরোধীয় কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ার শান্তিরক্ষীবাহিনী পর্যবেক্ষণ করার কথা রয়েছে।

এদিকে বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান ঘোষণা দেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর হয়েছে তুরস্কের। এতে করে মস্কোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে আঙ্কারার সেনাবাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে।