ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু ও এনডিটিভি।
ভারতের ১৭ তম লোকসভার প্রথম দফা অনুষ্ঠিত হয় ১১ এপ্রিল। সবমিলিয়ে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে পুরো নির্বাচন। সর্বশেষ দফা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মে। ভোট গণনা শেষ হবে ২৩ মে। ধারণা করা হচ্ছে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১২ প্রদেশ ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত ৯৫ আসনে। এর মধ্যে, তামিল নাডুর ৩৯ আসনের সবগুলো; কর্ণাটকের ১৪ আসন; মহারাষ্ট্রের ১০ আসন; উত্তর প্রদেশের ৮ আসন; আসাম, বিহার ও ওদিশার প্রত্যেকটিতে ৫ আসনে; ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় প্রদেশে ৩টি করে আসনে; জম্মু ও কাশ্মীরে দুই আসনে এবং মনিপুর, ত্রিপুরা ও পুদুচেরিতে ১টি করে আসনে চলছে ভোটগ্রহণ।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওদিশার ৩৫ আসন ও তামিল নাডুর ১৮ আসনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিধানসভা উপনির্বাচনও।
নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২৫ লক্ষ ২২ হাজার ৮৮৭ জন ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ৯ হাজার ৩৭২ জন। ‘অন্যান্য’ বিভাগে রয়েছেন ৮৭ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৯০টি।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরাজিত করতে চাইলে এই দফায় তামিল নাডু ও কর্ণাটকে বিরোধীদল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের নিরঙ্কুশ জয়লাভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ২০১৪ সালের নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকেই বিজেপির উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ওই নির্বাচনে ২৮ আসনের মধ্যে ১৭টিতে জয়ী হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী, এসপি নেতা আজম খান ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর ওপর নির্বাচন কমিশনের আরোপিত প্রচারণা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের প্রত্যেকের উপরেই ভিন্ন ভিন্ন সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।