ফের বিড়াল-কুকুরের সংস্পর্শে করোনা প্রাদুর্ভাবের শঙ্কা

দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে মহামারী করোনা এবং এতে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এই ভাইরাস প্রতিরোধে এখনো কোনো কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। যদিও করোনার কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করতে বেশ কয়েকটি দেশ কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে কুকুর-বিড়ালের মতো পোষা ও গৃহপালিত প্রাণীর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় ফের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এ কারণে প্রাণীদের ওপর কোভিড-১৯-এর প্রভাব নিয়ে বিস্তর গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে বিড়াল, কুকুর, হ্যাম্সটার, বানর ও ফেরিটের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। শৌখিন অনেক মানুষই ভালোবেসে এসব প্রাণী পুষে থাকে। ফলে জনবসতিতে এসব প্রাণীর মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর যথেষ্ট ঝুঁকি আছে।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট মাইক্রোবে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। তাদের কথায়, এরই মধ্যে অনেক জনবসতিতে করোনার মূলোৎপাটন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সেসব এলাকার বাসিন্দারা যদি পোষা ও গৃহপালিত প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করে, তাহলে ফের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, পোষা ও গৃহপালিত প্রাণী ছাড়াও খামারে লালন-পালন করা বন্য প্রাণীও করোনাভাইরাসের বাহক হতে পারে। এর মধ্যে শূকর, মিঙ্ক, বাদুড়, ইঁদুরের মতো প্রাণী নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের খামারে কিছু মিঙ্কের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তাদের মাধ্যমে আশপাশের লোকজন সংক্রমিত হচ্ছে-এমন ধারণা থেকে গত মাসে মেরে ফেলা হয় প্রায় ১০ হাজার মিঙ্ক।

গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক অধ্যাপক জোয়ান সানটিনি বলেন, ‘মানুষের কাছ থেকে প্রাণীর শরীরে করোনা যেমন প্রবেশ করছে, তেমনি সেসব প্রাণীর মাধ্যমে অন্য লোকজন আক্রান্ত হতে পারে-এমন প্রমাণ দিন দিন বাড়ছেই। কিন্তু এ ধরনের ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে আমাদের কাছে সঠিক ধারণা নেই। কারণ এ নিয়ে খুব একটা গবেষণা হয়নি।’

গত মাসে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, বিড়াল সহজেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি নিজেদের মাঝেও ভাইরাসটি ছড়াতে সক্ষম।

Scroll to Top