একমাত্র কাজী মারুফই যেটা পেরেছেন

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বেশ কয়েকজন সুপারস্টার নায়কের আবির্ভাব ঘটেছে। নায়করাজ রাজ্জাক থেকে শুরু করে এই তালিকায় আছেন প্রয়াত মান্না, সালমান শাহ, রিয়াজ, ফেরদৌস এবং বর্তমানের শাকিব খানসহ আরও নাম। অভিনয়জগতে তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গায় স্বমহিমায় উজ্জ্বল।

কিন্তু একটি অনন্য মাহাত্ম্যে তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে নায়ক কাজী মারুফ। অভিষেক ছবিতেই তিনি জিতে নেন দেশের চলচ্চিত্র ক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। এটি তাদের আর কারো ঝুলিতে নেই।

২০০২ সালে বাবা কাজী হায়াতের পরিচালনায় ‘ইতিহাস’ ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় মারুফের। সেখানে একজন সাদাসিধে স্কুলবালকের চরিত্রে অভিনয় করেন মারুফ। পরবর্তী সময়ে তাকে ঘিরে সমাজের কিছু দুষ্ট লোকের নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে তিনি হয়ে ওঠেন ভয়ংকর একজন কিলার।

‘ইতিহাস’ ছবিতে মারুফের বিপরীতে ছিলেন নায়িকা রত্না। বড় বোনের চরিত্রে ছিলেন নায়িকা মৌসুমী। মারুফের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন পরিচালক কাজী হায়াৎ নিজেই। আরও ছিলেন ওই সময়কার ভয়ংকর খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

অভিষেক ছবিতেই মাত করেন মারুফ। নজরকাড়া অভিনয় দিয়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জিতে নেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। এরপর অবশ্য আর কোনো পুরস্কার জেতেননি এ অ্যাকশন হিরো।

১৫ বছরের ক্যারিয়ারে কাজী মারুফ অভিনয় করেছেন ‘ইতিহাস’, ‘অন্ধকার’, ‘ক্যাপ্টেন মারুফ’, ‘রাস্তার ছেলে’, ‘ইভটিজিং’ ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ‘বিধ্বস্ত’, ‘শোধ-প্রতিশোধ, ‘বেপরোয়া’সহ মোট ১৭টি ছবিতে। এর মধ্যে ছয়টি ছবিই পরিচালনা করেছেন তার বাবা চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ

Scroll to Top