রেস্তোরাঁ ও ভবনে চলছে অভিযান, চার দিনে গ্রেপ্তার ৮৪৫

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত চার দিনে অগ্নিঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন ভবন ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ৮৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযান চলাকালে মামলা হয়েছে ২০টি। চার দিনে এক হাজার ১০০ রেস্তোরাঁয় অভিযান চালনো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা হয়েছে ৮৮৭ জনের।

গত বুধবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে অনুমোদন নিলেও সেখানে রেস্তোরাঁ করার অনুমতি ছিলো না।

ওই ঘটনার পর ধানমণ্ডি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে আলোচনায় ওঠে। রোববার থেকে রাজধানীতে যে যার মতো করে অভিযানে নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র‌্যাব।

এসব অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এসব অভিযানে। কোথাও কোথাও গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ।

ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরকারি সংস্থাগুলোর চালানো এসব অভিযানের সমালোচনা করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একে ‘হয়রানি’ বলছে।সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এখন যে পরিমাণ হয়রানি আমাদের করা হচ্ছে, এটা আসলে কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। আমি বলি হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকার হোটেল-রেস্তোঁরা, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার মোট এক হাজার ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ১৩২টি হোটেল-রেস্তোঁরা, ২০৭টি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান এবং আটটি রাসায়নিকের গুদাম।

Scroll to Top