ভূত তাড়ানোর’ নামে কিশোরীদের সারি বেঁধে…..

স্কুলপড়ুয়া কিশোরী বিশাখা। পড়ালেখা করতে ভালো লাগে না তার, তাই মা-বাবা মনে করেছে তাকে ভূতে ধরেছে। ব্যাস টেনে নিয়ে সারিতে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাকে। সেখানে রয়েছে বিশাখার মতো আরো কয়েকজন কিশোরী। পরিবারের দাবি, তাদের ভূতে ধরেছে।

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুচিরাপল্লির আচাপ্পান মন্দিরের দৃশ্য এটি। ভূতে ধরেছে এমন কুসংস্কারে কিশোরীদের মন্দিরে এনে সারি বেঁধে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর চাবুক দিয়ে পেটানো হয় তাদের শরীরে। মার খেয়ে অনেকেই চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে। আর এভাবেই সন্তান সুস্থ হবে বলে ধারণা তাদের মা-বাবার।

সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বিশাখা কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘চাবুকের দাগ দেখে আমার বন্ধুরা এখন হাসাহাসি করবে।’

প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার কিশোরী ওই মন্দিরে চিকিৎসার জন্য যায়। চাবুকের বাড়ি খাওয়ার জন্য তাদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।

তবে চিকিৎসার জন্য চাবুক দিয়ে পেটানো কোনো অপরাধ নয় উল্লেখ করে মন্দিরের একজন সাধু বলেন, এই চিকিৎসা একটা প্রাচীন ঐতিহ্য। বহুদিনের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ভক্তরা চিকিৎসা নিতে আসে। তাই এটা বন্ধ করা যাবে না।

ওই সাধুর সঙ্গে একমত পোষণ করে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, চাবুকের এক বাড়িতেই ঠিক হয়ে যাবে। আমি কয়েক বছর ধরে চাবুকপেটা খাচ্ছি। এতে আমার রোগ সেরে গেছে। চাবুকপেটায় আমার অগাধ বিশ্বাস।’

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, ০৮ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ