‘নিখোঁজ’ রাম রহিমের সেই মেয়ে নামে ‘শয্যাসঙ্গী’

‘বাবা’র সাজা ঘোষণার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন পাপাস অ্যাঞ্জেল বলে পরিচিত পালিত মেয়ে হানিপ্রীত ইনসান। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বিমানবন্দরসহ রাজ্য থেকে বেরনোর বিভিন্ন চেক পয়েন্টগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

স্বঘোষিথ গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের এই পালিত কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যেদিন পঞ্চকুলা আদালত রাম রহিমকে ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত করে, সে দিনই আদালত চত্বর থেকে তাকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন হানিপ্রীত। সেই মতো পুরো প্রস্তুতি নিয়েই আদালতে এসেছিলেন বলে সন্দেহ পুলিশের। সন্দেহটা আরও দৃঢ় হয়, একটি লাল ব্যাগকে ঘিরে। আদালতে হাজির হওয়ার সময় রাম রহিমের সঙ্গে ওই লাল ব্যাগটি দেখা গিয়েছিল।

আসলে ব্যাগ চেয়ে পাঠানোটাই ছিল সংকেত। লাল ব্যাগের সংকেত ছিল ‘খারাপ খবর’। হাঙ্গামা শুরু করো। প্রায় একই সময়ে ডেরার বাছাই করা সন্ত্রাসীদের মোবাইলে এসএমএসে পৌঁছায় একটি সাংকেতিক বার্তা, ‘টোম্যাটো ফোড়ো’।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সম্ভবত সিরসায় ডেরার সদর দপ্তর থেকেই পাঠানো হয়েছিল সেই এসএমএস। মর্মার্থ একই, ‘ভাঙচুরে নেমে পড়’।

পুলিশের দাবি, এ কাজে তাকে পুরোদস্তুর সহযোগিতার দায়িত্ব নিয়েছিলেন হানিপ্রীত। সে দিন আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে হানিপ্রীতের হাতেই ওই লাল ব্যাগটি লক্ষ্য করা যায়। শুধু তাই নয়, ‘বাবা’র দেহরক্ষীরাও প্রস্তুত ছিল তাকে নিয়ে পালানোর জন্য। তবে পুরো পরিকল্পনাই ভেস্তে যায় হরিয়ানার ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (ক্রাইম) নেতৃত্বে একটি বিশেষ দলের তৎরতায়।

বাবা গেলেন জেলে। পালানোর ছক ভেস্তে গেল। তার ২০ বছরের সাজা ঘোষণা হল। পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে আর দেরি করেননি হানিপ্রীত। কারণ এই মুহূর্তে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে তার ভূমিকাকে ঘিরে। ‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী তাই নিজের বিপদের গন্ধ পেয়েই গা ঢাকা দেন। যে দিন রাম রহিমের সাজা ঘোষণা হয়ে যায়, সে দিন থেকেই বেপাত্তা হানিপ্রীত। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। জারি করা হয়েছে লুক আউট নোটিসও।

বাংলাদেশ সময় : ১২১০ ঘণ্টা, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ