সরকারি শাড়ি নিয়ে নারীদের চুলাচুলি ঝগড়া

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার দুর্গাপূজার দশহরা উপলক্ষে নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেই ফ্রি শাড়ি পাওয়াকে কেন্দ্র করে উপস্থিত নারীদের মাঝে ব্যাপক মারামারি বেঁধে যায়। গালাগালি, চিৎকার, চেঁচামেচিসহ একে অন্যের চুল ধরে টানাটানির ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয় স্থানীয়ভাবে ‘বাথুকম্মা উৎসব’ হিসেবে পরিচিত দশহরার সেই উৎসবে ৫০০টি ডিজাইনের শাড়ি উপহার দেওয়া হয়। সরকারের তরফ থেকে বলা হয় গরীবদের জন্য এই শাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্ভবত তামিলনাডুর প্রয়াত নেত্রী জয়াললিতার ‘আম্মা’ শাড়ির অনুকরণে করা শাড়ি বিতরণ পরিকল্পনা মাফিক দেওয়া যায়নি।

ক্ষমতাসীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) এর নেতারা যখন সকালে শাড়ি বিতরণ শুরু করেন তখন কয়েক জায়গায় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সায়দাবাদ নামক একটি এলাকায় লম্বা লাইন ধরে অপেক্ষমান নারীরা বেশ গোলমাল শুরু করে। এক পর্যায়ে একে অন্যের সাথে গালাগালি, হাতাহাতি এবং চুলাচুলি শুরু করে দেয়। নারী পুলিশদেরকে দেখা যায় তারা অনেক কষ্ট করে তাদের এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিওতে দেখানো হয় কিছু নারী শাড়ি পোড়াচ্ছেন। তাদের অভিযোগ শাড়িগুলোর মান খুবই খারাপ। এবং তাঁতের শাড়ি দেওয়ার কথা থাকলেও খুবই বাজে মানের শাড়ি দেওয়া হয়। শাড়িতে আগুন লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে গান গেয়ে বিদ্রুপ করতে দেখা যায়।

মাইসাম্মা নামে এক নারী বলেন, ‘সুনাম কামানোর পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর (চন্দ্রশেখর রাও) দুর্নাম কামালেন। আচ্ছা তার মেয়ে কবিতা কি এই শাড়ি পড়ে বাথুকাম্মা নাচবে?’

তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার এটাকে বিরোধি দল কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।

বাংলাদেশ সময় : ১২৩৮ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ