পাকিস্তান চায় সম্পর্কোন্নয়ন, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি চায়। এমন আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে আজ রোববার ঢাকায় ফিরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

কলম্বোয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হিনা রাব্বানি খারের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তান সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহের কথা জানানো হয়। তারা ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) করতে চাইছে। তিনি হিনাকে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক চাইলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে, ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রতি উত্তরে হিনা সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে নিজেদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে জানান ড. মোমেন।

সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে হিনা রাব্বানির বক্তব্য ইতিবাচক ছিল উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, শুধু আমাদের সঙ্গেই না, ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক করতে চায় পাকিস্তান।

হিনা রাব্বানি বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য বৃদ্ধির আগ্রহের কথা জানালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং দিয়ে রেখেছে তার দেশ, বাণিজ্য কীভাবে বাড়বে?

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসাটা ‘একপক্ষীয় হয়ে গেছে’। বাংলাদেশ পাকিস্তানে রপ্তানি করে ১০ কোটি ডলারের নিচে; বিপরীতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করে ৮০-৯০ কোটি ডলার।

শ্রীলঙ্কাকে ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হওয়ায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিকে ধার দেওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা ধীরে ধীরে ভালো করছে। তারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২১ সালে একটি মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার অধীনে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ সহায়তা করেছিল। সেই ঋণ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ব্যাংক শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধের জন্য আরও ৬ মাস সময় দিয়েছে। তবে দ্বীপ দেশটি দীর্ঘায়িত অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল।