ভোটার কার্ড না থাকলেও সরকারি ত্রাণ পাওয়া যাবেঃ মেয়র নাছির

মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা ভোটার কার্ড না থাকলেও সরকারি ত্রাণ পাওয়া যাবে সরকারের এ ঘোষণা অনুযায়ী ৪১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে তালিকা তৈরির প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

কাউন্সিলরদের উদ্দেশে এ নির্দেশনায় তিনি বলেন, নগরে অবস্থানরত নিম্নআয়ের মানুষ, বেকার শ্রমিক, চা দোকানদার, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, মোটরযান শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিক, দোকান কর্মচারী যে-যেখানে অবস্থান করছেন সে ঠিকানানুযায়ী ত্রাণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনো অসচ্ছল পরিবার যাতে বাদ না পড়ে সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

এক্ষেত্রে যাতে আইডি কার্ড না থাকা, ভোটার না হওয়া- এসব আমলে না এনে সরকারি ত্রাণ প্রাপ্তির হালনাগাদ তালিকা তৈরি এবং সব নাগরিকের ঘরে ঘরে যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে যায় সেজন্য কাউন্সিলরদের করিৎকর্মা হয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি প্রান্তিক স্তরে খাদ্য সহায়তায় সরকারি ওএমএস চাল বিতরণের কার্ড তৈরি এবং সরকারি নির্দেশনার অন্যান্য দিক তুলে ধরে বলেন, কার্ডপ্রাপ্ত সেবা গ্রহীতারা প্রতি মাসে ১০ টাকা মূল্যে মাসিক ২০ কেজি চাল সংগ্রহ করতে পারবেন এবং তা সরকার নিয়োজিত ডিলারদের কাছ থেকেই তুলে নিতে হবে।

ওএমএস-এ কার্ড তালিকায় চট্টগ্রাম নগরে শুধু আন্দরকিল্লা ও জামালখান ওয়ার্ডে ২০০ করে পরিবার অন্তর্ভুক্ত হবেন। অন্য ওয়ার্ডগুলোর প্রতিটিতে ৪০০ করে পরিবারকে ওএমএস কার্ড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ওএমএস কার্ড প্রত্যাশীদের প্রত্যেককে ২ কপি ছবিসহ আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযোজন করে তালিকা প্রস্তুত করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান দেন মেয়র।

তিনি ওএমএস’র চাল নিয়ে যাতে নয়-ছয় না হয় এবং এ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টরা চাল আত্মসাৎ অপচেষ্টায় লিপ্ত না হয় সে ব্যাপারে সুতীক্ষ্ণ নজরদারি রাখার জন্য কাউন্সিলরদের পরামর্শ দেন।

মেয়র কাউন্সিলরদের উদ্দেশে আরও বলেন, করপোরেশন থেকে সরকারি ত্রাণসামগ্রী বুঝে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা তালিকাভুক্ত গ্রহীতাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এ ছাড়াও ত্রাণ গ্রহীতাদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেওয়াসহ তারা যেন ঘরে অবস্থান করে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা এবং সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে সে ব্যাপারে কাউন্সিলরদের ডোর-টু ডোর ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে বলেন মেয়র।