চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে দোকান কর্মচারীর মৃত্যু, জড়িতদের শাস্তি চায় মানবাধিকার কমিশন

মহামারী করোনার প্রভাবে দেশে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ। পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রামের টেরীবাজারে কাপড়ের দোকানের কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরীর মৃত্যুর অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুকে কখনো সমর্থন করে না। হেফাজতে মৃত্যু মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। \’শুধুই প্রত্যাহার\’ এই ধরনের জঘন্য অপরাধের শাস্তি হতে পারে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর গতকাল শুক্রবার (১ মে) পাঠানো এক চিঠিতে একথা বলেছে কমিশন।

কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক স্বাক্ষরে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হেফাজতে মৃত্যুকে কখনো সমর্থন করে না। হেফাজতে মৃত্যু মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের সেবায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে পুলিশের তিনজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন সময় পুলিশের কতিপয় সদস্যের এ ধরনের অপেশাদারি আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কতিপয় সদস্যের কর্মকাণ্ডে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় ওই ঘটনায় এসআই কামরুলসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, কেবল প্রত্যাহারই এই ধরনের জঘন্য অপরাধের শাস্তি হতে পারে না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

গত ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন টেরীবাজারের কাপড়ের দোকানের দুই কর্মচারীকে আটক করে কোতোয়ালি থানার বক্সিরবিট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান এসআই কামরুল।

নিহতের পরিবার ও এক দোকান কর্মচারীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে মারধরের একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন গিরিধারী চৌধুরী। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় এসআই কামরুলসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।