কক্সবাজারে যুবককে হাত-পা বেঁধে হত্যা করলো রোহিঙ্গারা

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে রোহিঙ্গাদের উপদ্রব। কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের হাতে অপহৃত আব্দুর রশিদের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এবং উখিয়ার পালংখালীর মধ্যবর্তী আঞ্জুমান খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কাঁকড়া শিকারের সময় মোস্তাফিজ নামে এক ব্যক্তি হাত বাঁধা অবস্থায় মাথা এবং নাক-মুখে আঘাতের চিহ্নসহ এক যুবকের মরদেহ দেখতে পায়। পরে সে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। এরপর লোকজন এসে ভোররাতে মৎস্য ঘেরে অপহৃত কাটাখালী পূর্ব পাড়ার মিয়া হোছনের ছেলে আব্দুর রশিদ ওরফে সাদেক বলে শনাক্ত করেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, রোহিঙ্গাদের হাতে অপহৃত আব্দুর রশিদের হাত বাঁধা ও মাথা, নাক-মুখে আঘাতের চিহ্ন সম্বলিত মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বার নিশ্চিত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নিহত রশিদের পরিবারে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, রবিবার ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং কাটাখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে মিনাবাজার থেকে অপহৃত ইদ্রিসকে নিয়ে যায় এক দল রোহিঙ্গা।

ডাকাত দল হৈ চৈ শুরু করলে মৎস্যঘেরে থাকা পূর্ব ঊলুবনিয়া রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে কাটাখালী পূর্ব পাড়ার মিয়া হোছনের ছেলে আব্দু রশিদ ওরফে সাদেক টর্চ লাইট মেরে কারা জানতে চাই? তখন ডাকাত দল ক্ষুব্ধ হয়ে ঘেঁরে থাকা লোকজনের উপর চড়াও হলে সাথে থাকা ইদ্রিস পালিয়ে যায়। তখন ডাকাত দল ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুর রশিদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবহিত করা হলে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।