টাঙ্গাইলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

সামান্য বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদিঘী আঞ্চলিক সড়কে সাগরদিঘী বাজার অংশে হাঁটুপানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যার কারণে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কের নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে এ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ২২ কোটি টাকা ব্যায়ে ঘাটাইল-সাগরদিঘী সড়কের কামালপুর থেকে সাগরদিঘী হয়ে গুপ্তবৃন্দাবন পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। কাজটি তদারকি ও তত্ত্বাবধান করছে ময়মনসিংহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ভাওয়াল কন্সট্রাকশন’। গত এক বছর ধরে নির্মাণ কাজ চললেও সড়কের ২৫ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। ধীর গতিতে নির্মাণ কাজ চলায় সড়কে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সাগরদিঘী বাজার মোড় এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।

ঘাটাইলের পাহাড়িয়া সবজি ও ফল প্রধান এলাকা। ভাঙা রাস্তার কারণে পন্যবাহী ট্রাক আসচে না এলকায়। তাই বিপাকে পড়েছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, সাগরদিঘী ব্যবসা নির্ভর এলাকা। সড়কের নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে এলাকার জনসাধারনের হাট-বাজার, ব্যবসা-বানিজ্য ও য়াতায়াতে নজিরবিহীন ভোগান্তি হচ্ছে। জনগনের ভোগান্তির বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বার বার অবগত করলেও তারা বিষয়টিকে পাত্তাই দিচ্ছে না।

সড়কের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভাওয়াল কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ফকরুদ্দিন বাচ্চুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে নির্মাণসামগ্রীর অপ্রতুলতাসহ নানা কারণে নির্মাণকাজে সাময়িক ধীরগতি ছিল। গত সপ্তাহ থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।