চট্টগ্রামে রাতে অতি ভারী বর্ষণ, পাহাড়ধসের শঙ্কা

চট্টগ্রামে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাত ১২টার পর থেকে অতি ভারী বর্ষণ এবং পাহাড় ধস হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এই শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।

সেই সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও পাশের অধিকাংশ জায়গার অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো বাতাস এবং বজ্রসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তবে রাত ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই পূর্বাভাসে।

এই সময়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।

চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার প্রায় দিনভর বৃষ্টির কারণে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ এতে ভোগান্তিতে পড়েন।

ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কায় নগরে পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বাস করা লোকজনকে সরে যেতে দ্বিতীয় দিনের মতো মাইকিং অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, নগরে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা লোকজনকে সরে যেতে আমরা মাইকিং অব্যাহত রেখেছি।

তিনি বলেন, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, সদর, কাট্টলী এবং আগ্রাবাদ সার্কেলের এইসব পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস করা লোকজন যাতে এই সময়ে ভোগান্তিতে না পড়েন সে জন্য ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।