বুথ জালিয়াতি শিখেছেন রাশিয়ায়, টাকা নিয়ে পালাতেন ভারতে

সাত মাস আগে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় পূবালী ব্যাংকের তিন বুথ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন বুথ থেকে ৯ লাখ টাকা চুরি হয়। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এর আগের দিন নগরের আগ্রাবাদ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন শরীফুল ইসলাম (৩৪) ও মহিউদ্দিন মনির (৩০)।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন,শরীফুল ২০০৩ সালে এইচএসসি পাস করে রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটিতে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তিন বছর মেয়াদী ডিগ্রি নিতে যায়। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় তার রাশিয়ান রুমমেট ইভানোভিচের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড প্রতারণার কৌশল শেখে। ২০১০ সালে দেশে আসার পরপরই সে কার্ড জালিয়াতি শুরু করে। এরপর ২০১৩ সালে দুইটি মামলায়ও ১৮ মাসের জেল হয়। জামিনে বের হয়ে ফের জড়িয়ে পড়ে এসব কাজে। সে প্রতিবার এ ধরণের জালিয়াতির আগে ভারতের ভিসা নিয়ে রাখত। জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের জন্য সে ভারতে পালিয়ে যেত। কিছুদিন থাকার পর সেখান থেকে আবার দেশে ফিরত। গত ২০১৯ সালের নভেম্বরে বুথে জালিয়াতির পরও সে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল।

উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক জানান, এর আগেও শরীফুল একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে। গত বছর নভেম্বরে ডবলমুরিং থানায় করা জিডির তদন্ত করতে গিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের সঙ্গে কেউ আছে কি না এসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি।

ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, পূবালী ব্যাংকের চারটি বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা শরীফুলকে শনাক্ত করি এবং তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করি। তারা ভেবেছিল করোনা পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর দিচ্ছে না। তাই নগরীতে আবার আসে তারা। গত ২২ জুন আবারও কোতোয়ালীর জিপিও এলাকায় বিকেল পৌনে ৪টায় সাউথইস্ট ব্যাংকের বুথ এবং ৫টায় আগ্রাবাদে মিডল্যান্ড ব্যাংকের বুথে ঢুকে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় শরীফুল ও তার সহযোগী মনির। এরপর তাদের গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়।