নিষ্ঠুর প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেমিকার ধর্ষণ মামলা

প্রেম হল অন্য কোন ব্যক্তির প্রতি কোন ভালোবাসার অনুভূতি, বা কোন দৃঢ় আকর্ষণ, এবং এসকল বিষয়ের ফলে সৃষ্ট আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক বিয়ের নিমিত্তে বিবাহপূর্ব সম্পর্ক গঠনকারী আচরণাবলি প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জোরপূর্বক রিকশায় ওঠাতে না পেরে গার্মেন্ট কর্মীর গালে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনায় আটক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন প্রেমিকা।

শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের বেপারীপাড়া এলাকায় একটি স’মিলের সামনে এ ঘটনা ঘটলে স্থানীয়রা শহিদুল ইসলাম জিসান (২০) নামের ওই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেড় বছর ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগে রাতে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন প্রেমিকা (১৮)। তিনি আগ্রাবাদের একটি গার্মেন্টে অপারেটর পদে কর্মরত।

শহিদুল ইসলাম জিসানকে ‘মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী’ আখ্যা দিয়ে মামলার বিবরণীতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দেড় বছর ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকার বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জিসানের সঙ্গে তার ৩ বছর পূর্বে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গত দেড় বছর ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করে আসছেন। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে শহিদুল ইসলাম জিসান। বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দেয়।

গত ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই তরুণী বাসা থেকে গার্মেন্টে যাওয়ার পথে বেপারীপাড়া স’মিলের সামনে রাস্তায় হাত ধরে টান দিয়ে রিক্সায় ওঠানোর চেষ্টা করে। তিনি রিক্সায় উঠতে না চাইলে সিগারেটের আগুন দিয়ে গালে ছ্যাঁকা দেওয়া হয় এবং লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই তরুণী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম জিসানকে আটক করেছি।